ছাতক (সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ছাতক উপজেলার চেলা নদী ও মরা চেলা নদী বালু মহালে শ্রমিক ও নৌ পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অনেক তথ্য বিভ্রাটসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ নিরীহদের আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের।
শনিবার সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে ইমজার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে মামলার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেন ছাতক পৌর আওয়ামীলীগের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাতক পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, নৌ পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করে তারাই আবার অভিযোগটি তদন্ত করছে। এতে নিরপক্ষেতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাদি পক্ষকে দিয়ে মামলা তদন্ত না করে পিবিআই কিংবা অন্য কোনো নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে মামলা তদন্ত করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাতক পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক চান মিয়া চৌধুরী উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও একটি চাঁদাবাজ চক্রের মদদে ছাতক পৌরসভায় একাধিকবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক তাপস চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী ও নিরীহদের আসামী করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের সিংচাপইড় গ্রামের মিজান নামের এক যুবককে আসামী করা হয়েছে। তিনি একজন চালক। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক কর্মীদেরও আসামী করা হয়েছে। যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৪ঠা জুলাই চেলা নদী বালু মহালের সৈদাবাদ এলাকায় নৌকা শ্রমিক ও নৌ পুলিশের মধ্যে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। ছাতক নৌ পুলিশের পক্ষে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনকে আসামী করে ছাতক থানায় মামলা (নং-৩(৭)২১) করা হয়। মামলায় ঘটনাস্থল সৈদাবাদের পরিবর্তে নিয়ামতপুর উল্লেখ করা হয়েছে। রাত ৮টায় ঘটনা ঘটলেও সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট উল্লেখ করা হয়। ছাতকের সুরমা নদীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজির বিষয়টি সর্বজন বিধিত উল্লেখ করে আওয়ামীলীগ নেতারা জানান, চাঁদাবাজির সাথে ছাতক নৌ পুলিশের সম্পৃক্ততা রয়েছে। চাঁদবাজির বিরুদ্ধে নৌ পুলিশের যথটুকু সক্রিয় থাকার কথা সেক্ষেত্রে তারা নির্বিকার। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর তাপস চৌধুরীসহ তার সমর্থক, এলাকার রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীরা সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। ওই ঘটনা ও মামলার পেছনে গত পৌরসভা নির্বাচনে তাপস চৌধুরীর বিরোধীতাকারী সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চক্রের ভূমিকা রয়েছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এসব করা হচ্ছে। নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে মামলাটি তদন্ত করে আসল সত্য বের করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি কমিটির সদস্য বাবুল রায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক ফজলুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আশিক আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত মোহাম্মদ লাহিন, আনিসুর রহমান চৌধুরী সুমন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমদ, সাবেক কাউন্সিলর আসাব মিয়া, মিনহাজুর রহমান তাপস, ইশতিয়াক তানভীর, আলমগীর আলম, কামাল উদ্দিন, সাইফুদ্দিন প্রমুখ।
এএমএল/এমআর