ছাতকে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ
প্রথম পাতা »
ব্রেকিং নিউজ »
ছাতকে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ
বৃহস্পতিবার ● ৮ জুলাই ২০২১
ছাতক(সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চেলা নদীতে নিরীহ শ্রমিকদের কাছ থেকে নৌ-পুলিশ কর্তৃক চাঁদাবাজি বন্ধ ও বালুমহাল ইজারাদারদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যার দাবিতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবারে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার উপজেলার মুক্তিরগাঁও গ্রামের অ্যাডভোকেট আলম উদ্দিন এ স্মারকলিপি দেন। তিনি চেলা নদী ও মরা চেলা নদী বালুমহালের ইজারাদারী প্রতিষ্ঠান ফয়েজ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী ফয়েজ আহমদের আত্মীয়।
স্মারকলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, নৌ-পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানির ঘটনায় অতিষ্ট ব্যবসায়ীরা। রয়্যালিটি প্রদানের পরও ছাতক নৌ-পুলিশকে দিতে হয় বড় অংকের চাঁদা। তারই ধারাবাহিকতায় ৪ জুলাই রোববার রাত আনুমানিক ৭টার দিকে ছাতক নৌ-পুলিশ ইউনিটের ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ৫টি স্টিলবডি নৌকায় উঠে শ্রমিকরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে দাবি করেন। এতে শ্রমিকরা তাকে জানান, তারা বালুমহালের রয়্যালিটি প্রদান করে বৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। কিন্তু নৌ-পুলিশ ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘এখান থেকে বালু উত্তোলন করতে হলে নৌ-পুলিশকে টাকা দিতে হবে।’ এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা ইজারাদারকে রয়্যালিটি দিয়েই বৈধভাবে বালু উত্তোলন করছি। কাউকে চাঁদা দেওয়ায় প্রশ্নই উঠেনা।’ এ কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্জুরুল আলমের নির্দেশে নৌ-পুলিশ সদস্যরা শ্রমিকদের উপর হামলা চালান।এ ঘটনায় বালুমহালের ইজারাদারী প্রতিষ্ঠান ফয়েজ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী ফয়েজ আহমদ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আলম উদ্দিন অভিযোগ করেন, একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে উক্ত বালুমহাল জবর দখল করে নিতে নানা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ইজারাদারকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পুলিশের মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভূক্ত করিয়েছে। অ্যাডভোকেট আলম উদ্দিন নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ইজারাদার পক্ষকে যথাযথ নিয়মে রয়্যালিটি আদায়ে পুলিশি হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট রেঞ্জের ডিআইজির সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এএমএল/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৬:৩৯ ●
৩৮৩ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)