কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

চলমান লকডাউনের মধ্যে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিভিন্ন স্থানে বসছে পশুরহাট। এসব পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলেও এক শ্রেণির মুনাফালোভী ইজারাদার মানছেন না সরকারি বিধিনিষেধ। পশুরহাটে একে অন্যের সাথে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনা বেচা করছেন। শরীরের সঙ্গে শরীর লাগিয়ে দরদাম করা কিংবা পশু কিনে পিকআপে তোলা কোনটাতেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা ছিলনা। এদের অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধির বালাই চোখে পড়েনি ওইসব পশুরহাটে। সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই বাজার পরিচালনা করছেন ইজারাদাররা।
সোমবার (৫ জুলাই) উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা ও লালুয়া ইউনিয়নের বানাতিবাজারে পশুরহাটে এবং রবিবার ধানখালী ইউনিয়নের নোমরহটে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এতে প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এলাকার লোকজন বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউনে গত ১ জুলাই থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পশুরহাটে পশু বেচাকেনা বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও বিভিন্ন এলাকায় পশুরহাট বসিয়ে গরু-ছাগল বেচাকেনা চলছে। পাখিমারা বাজারে গরু কিনতে আসা উপজেলার মহিপুরের সোলায়মান বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে। কেউ তো সামাজিক দূরত্ব মানছে না। এমন কি মুখে মাস্কও ব্যবহার করছে না। ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের কিছুু বলছে না।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক লকডাউনের মধ্যে পশুরহাট বসার কথা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে পশুরহাট বন্ধের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এনইউবি/এমআর