গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ২নং বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস নিজ অর্থয়নে রাষ্ট্রীয় সম্পদ সংরক্ষণ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। চেয়ারম্যানকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করেছে একটি কুচক্র মহল।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বৌলতলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বারখাদিয়া-কড়িগ্রাম সংযোগ রাস্তার বৌলতলী ইউনিয়নের অংশে ৫০০মিটার রাস্তা প্রতিবছর বন্যায় পানিতে ডুবে যায়। চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস জাইকা প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি উঁচু করার জন্য উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন। আবেদনটি গৃহীত হয় এবং টেন্ডারের মাধ্যমে প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করতে গিয়ে রাস্তার সলিংকৃত ইট তোলা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র মাটি দিয়ে রাস্তা উঁচু করা তাই তারা রাস্তার ইট তোলা ও সংরক্ষণ করতে পারবে না বলে চেয়ারম্যানকে জানান। পরে চেয়ারম্যান নিজ দায়িত্বে ইটগুলো তুলে বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মধুমতী নদীর পাড়ে উন্মুক্ত নিরাপদ জায়গায়  সংরক্ষণ করেন।
এ বিষয়ে বৌলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, আমি মনে করি রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা ও সংরক্ষণ করা একজন জনপ্রতিনিধির অন্যতম একটা দায়িত্ব। নিজ অর্থ ব্যয় করে সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে কখনো ভাবতে পারিনি। শতভাগ সততা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি কুচক্রিমহল আমার জনপ্রিয়তায় ঈশার্নিত হয়ে ঘটনাটিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত্র করা ও আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে উপজেলা  প্রকল্প বাস্তবায়ন  কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং ইটগুলো চেয়ারম্যানের হেফাজতে  সংরক্ষিত আছে বলে আমি নিশ্চিত হয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুর রহমান বলেন, আমি সরজমিনে গিয়েছি এবং ইট চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছে। ওই রাস্তার কিছু ইট চুরি হয়ে গেছে। বাকি ইটগুলো চেয়ারম্যান নিজ দায়িত্বে একটি নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করেছেন।

এইচবি/এমআর