আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা কওে গণ পরিবহন বন্ধে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যান্ত্রিকযান থ্রি-হুইলার মাহেন্দ্র গাড়ী। মাহেন্দ্র গাড়ী চলাচল নিয়ন্ত্রনে উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে দ্রুত মাহেন্দ্র চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সচেতন নাগরিকদের।
জানাগেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব থেকে মানুষকে রক্ষায় গত সোমবার থেকে লকডাউন ঘোষনা করেছেন সরকার। এ লকডাউন চলাকালিন সময়ে সকল ধরনের গণ পরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আমতলী-কলাপাড়া, আমতলী-শাখারিয়া মহাসড়কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে যাত্রী বোঝাই করে মাহেন্দ্র চালাচ্ছেন মালিকরা। ১০ জনের মাহেন্দ্র গাড়ীতে ঠাসাঠাসি করে ১২-১৪ জন যাত্রী নিচ্ছেন। এলে বিঘিœত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় মাহেন্দ্র মালিকরা এ সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন। আমতলী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অন্তত ২ শতাধিক মাহেন্দ্র গাড়ী চলাচল করছে। এতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস শহরাঞ্চল থেকে গ্রামাঞ্চলে ছড়ানোর আশংঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দুই দিন পেরিয়ে গেলেও লকডাউন পালনে প্রশাসনের কোন নজরদাবী নেই। প্রশাসনের সামনেই আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তা, হাসপাতাল সড়ক, বটতলা ও একে স্কুল চৌরাস্তা থেকে অহরহ মাহেন্দ্র গাড়ী যাত্রী বোঝাই করে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। দ্রুত প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে গ্রামাঞ্চলকে রক্ষায় মাহেন্দ্র চলাচল বন্ধের দাবী জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। এদিকে আমতলী পৌর শহরের সকল দোকান পাট খোলা রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধে প্রশাসনের নজরধারী নেই।
মঙ্গলবার আমতলী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আংশিক খুলে দেদারসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতেও স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না।
যাত্রী সোবহান, জাফর ও কবির বলেন, আমতলী শহরে গিয়েছিলাম এখন মাহেন্দ্র গাড়ীতে বাড়ী যাচ্ছি। তারা আরো বলেন, কেউতো মাহেন্দ্রতে যেতে নিষেধ করছে না।
আমতলী পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন বিশ^াস বলেন, সরকার লকডাউনে গণ পরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছে কিন্তু আমতলীতে মাহেন্দ্র, মাইক্রোবাস ও অটোবাইক অবাধে চলাচল করছে। প্রশাসনের সামনে মাহেন্দ্র চললেই তারা নিরব ভুমিকা পালন করছে। দ্রুত মাহেন্দ্র গাড়ী চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন। নইলে করোনা প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে যাবে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে মাহেন্দ্র গাড়ী চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ইউএনওকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাহেন্দ্র চলাচল বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে গণ পরিবহন চালালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, লকডাউন পালনে কঠোর তদারকি অব্যহত আছে।
এমএইচকে/এমআর