কলাপাড়ায় খাদ্যগুদাম’র দু’শ মিটার সড়কে দুর্ভোগ!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় খাদ্যগুদাম’র দু’শ মিটার সড়কে দুর্ভোগ!
সোমবার ● ২৮ জুন ২০২১


কলাপাড়ায় খাদ্যগুদাম’র  দু’শ মিটার সড়কে দুর্ভোগ!

কলাপাড়া(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

মাত্র দু’শ মিটার সড়কের দুর্দশা গত এক দশকেও কাটেনি। অথচ উপজেলার প্রধানতম সরকারি খাদ্য গুদাম সড়ক এটি। প্রতি মাসে কোনো না কোনা সরকারিভাবে বরাদ্ধ ভিজিএফ চাল, জেলেদের চাল, খাদ্যবান্ধব ডিলারের চাল ও কৃষকের কাছ ধান কেনাসহ বছরে অনুমানিক প্রায় ১৭ হাজার ২৯৩ মেট্রিকটন ধান-চাল ওঠা নামা করে ওই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু খাদ্য গুদামের প্রবেশ দ্বারের সড়কটি ও জেটি দুরাবস্থার কারনে এ এলাকার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ ও দু’টি পৌরসভা চাল নিতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পৌরশহরের সদর রোডের পাশে ১৯৭৭সালে খাদ্যগুদামটি স্থাপন করা হয়। বর্তমানে খাদ্যগুদামে  প্রতি মাসে কোনো না কোনা সরকারিভাবে বরাদ্ধ ভিজিএফ চাল, জেলেদের চাল, খাদ্যবান্ধব ডিলারের চাল ও কৃষকের কাছ ধান কেনাসহ বছরে অনুমানিক প্রায় ১৭ হাজার ২৯৩ মেট্রিকটন ধান-চাল ওঠা নামা করে ওই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু খাদ্য গুদামে প্রবেশ ও বের হয়ে যাওয়ার দু’শ মিটার সড়কটি ও জেটি গত এক দশক ধরে দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা পড়ে রয়েছে। সংস্কারের অভাবে সড়কেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দ আর গর্তে ভরা সড়কে চলতে গিয়ে প্রায়ই টম টম চাকা পিষ্ট হয়ে যায়।
খাদ্যগুদামে ধান/চাল ওঠা নামা টমটম চালক মো.জলিল হাওলাদার, হানিফ গাজী জানান, জাহাজ থেকে ধান/চাল উক্তোলন করতে দুর্ভোগের শেষ নেই। জেটি ও রাস্তা ভাল না থাকায় জাহাজ থেকে বস্তা মাথায় নিয়ে জেটিতে উঠতে হয় কিন্তু জেটি থেকে মনে হয় বস্তা নিয়ে হয় পড়ে যাবে। আর রাস্তা খারাপের কারনে টম টম চালাতে আমাদের কষ্টের শেষ থাকেনা। ইটের খোয়া কারনে আমাদের টমটম প্রায় নষ্ট হয়ে যায়।
লেবার সরদার মো. আবুল কালাম জানান, রাস্তাটি জরুরি ভিক্তিতে মেরামত করার দরকার। চালের বস্তা নিয়ে শ্রমিকদের জাহাজ থেকে উক্তোলন করতে খুবই কষ্ট হয়। ইটের খোয়া কারনে তাদের টমটম প্রায় নষ্ট হয়ে যায়।
কলাপাড়া পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রব লাল তক্ত বনিক জানান, জরুরি ভিক্তিতে প্রজেক্ট পেলেই রাস্তাটি করে দিবো। যাতে চাল উক্তোলন করতে কষ্ট না হয়।
এ ব্যাপারে খেপুপাড়া খাদ্যগুদামে এল এস ডি (ভারপ্রাপ্ত )কর্মকর্তা মনিরুউজ্জামান বলেন, আমি রাস্তাটির ব্যাপারে মেয়র ও উপজেলা চেয়াম্যান সাহেবকে বলছি। কিন্তু আজ ও পর্যন্ত  ওই রাস্তাটি বেহাল অবস্থা পড়ে রয়েছে। চাল ওঠা নামা করতে লেবারের কষ্টের সিমা থাকেনা।

এইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৮:১৮ ● ১০৯৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ