দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দুমকিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন কার্যকরে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। সব রকম যানবাহন চলাচল বন্ধসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়ায় কঠোর বিধি নিষেধ প্রতিপালনে পুলিশি তৎপড়ার বাড়ানো হয়েছে।
পটুয়াখালীর প্রবেশদ্বার লেবুখালী ফেরীঘাটে উপচে পড়া যাত্রীদের ভিড় ঠেকাতে ও স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুন) সকালে লেবুখালী ফেরীঘাটের অদূরে পুলিশি চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। সরকারি কঠোর বিধি নিষেধ প্রতিপালনে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি সার্বক্ষনিক পুলিশি নজরদাড়িতে থাকবে বলে জানিয়েছেন দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মেহেদী হাসান।
এদিকে কঠোর লকডাউনের আগেই বাড়ি ফিরতে বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা ও বরগুণা সড়কে যাত্রীদের চাপ ক্রমেই বেড়ে চলছে। রাজধানী শহর ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে ভাঙ্গা ভাঙ্গা রুটে মাইক্রো, মাহিন্দ্রা, অটোবাইক-মোটরসাইকেলসহ নানা বাহনে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের প্রচন্ড ভীর লেগে গেছে। লেবুখালী ফেরীঘাটে অনবরত ২টি ফেরি চলাচল করছে। অতিরিক্ত আরও দু’টি ফেরী প্রস্তত রাখা আছে। যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেলে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। কঠোর লকডাউনের আগেই যাত্রীদের গন্তব্যে যাওয়ার তাড়াহুড়া লক্ষ্যকরা গেছে। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালী, বরগুণা ও ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। শনিবার বিকেলে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও রোববার সকাল থেকে গাদাগাদি অবস্থাতেই ফেরি পার হচ্ছেন যাত্রীরা। ঘরমুখো যাত্রী বরগুনার পাথরঘাটার বাসিন্দা রোকসানা আক্তার বলেন, লকডাউনের আগেই বাড়িতে চলে যাচ্ছি। আজ প্রচুর ভিড় রয়েছে ফেরিতে। ঢাকা থেকে আসা গলাচিপার চরমন্তাজের যাত্রী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, লকডাউন কতদিন থাকবে তার নিশ্চয়তা নাই। সামনে কোরবানি। এমনও হতে পারে ঈদ পর্যন্ত লকডাউন। ঢাকায় থেকে কি করবো? আয় রোজগার বন্ধ তাই বাড়িতে যাচ্ছি। বাড়িতে গিয়ে ক্ষেতখামারে দিনমজুরি করলেও পেট চালানো যাবে।
ফেরিঘাটের দায়িত্বরত কর্মকর্তা (সুপারভাইজার) মো. আফজাল হোসেন বলেন, লকডাউনকে সামনে রেখে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। যানবাহনের বাড়তি চাপ নেই। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় লেবুখালী ফেরীঘাটে তেমন কোন অসুবিধা হচ্ছেনা যাত্রীদের।
এমআর