চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বিজয়ী মেম্বার আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের উপর হামলা ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত করেছে ৫জনকে। এয়াজপুর ৩নং ওয়ার্ডে পরাজিত প্রার্থী জুবায়ের’র কর্মীদের উপর হামলা ভাংচুর করা হয়েছে। আহত করেছে ৫০জনকে। এই ব্যপারে শশীভূষণ থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার রাত ৮টায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী সহিংসতায় ক্ষমতার দাপটে আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে বহিরাগতদের হামলা হয়েছে। এতে রহিম, মিজান, ইয়ানুর বেগম, সাজেদা ইসলাম, ও সাহিনা বেগম আহত হয়। এতে নগদ টাকা, ২০বড়ি স্বর্ণ লুট, ৩টি মটর, ২টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, ২টি ডায়নিং টেবিল, ২০টি চেয়ার, ২টি শোফাসেট, ৪টি খাট, ২টি শো-কেস, ২টি ষ্টিলের আলমিরা, ২টি গ্যাসের চুলা ভাংচুর করার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে শশীভূষণ থানায় পরাজিত প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন বাহার বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এদিকে চরফ্যাশনের এওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৩নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জোবায়ের স্বপন সিকদারেরকর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার ঘটনায় পরাজিত প্রার্থীর ৫০কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ৩জনকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে পৃথক পৃথক এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাইনউদ্দিন জানান, পরাজিত প্রার্থী জোবায়ের স্বপন সিকদারেরকর্মী মামুনের সাথে বিজয়ী প্রাথী শাহআলম হাওলাদারের কর্মী কবির হোসেনের কথাকাটাকাটি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী শাহআলম হাওলাদারের নেতৃত্বে গ্রামে গ্রামে প্রতিপক্ষের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৮টার পর দেশীয় অস্ত্রে সাজ্জিত কর্মীদের নিয়ে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থীর নেতৃত্বে হামলার শিকার হয়েছে জাহের মাঝির বাড়ি, ইসমাইল কাজির বাড়ি, শাহজাহান কাজির বাড়ি, ফারুক মাঝির বাড়ি, মাইনুদ্দিন কাজীর মুদি দোকান। হামলাকারীরা এসব বাড়ি ও দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং বাড়ি ও দোকানের লোকজনকে বেধরক মারধর করে। এই হামলায় হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও নারী শিশুসহ ৫০জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় শাহজাহান কাজি, মাইনউদ্দিন ও আবদুল্লাহকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মেম্বার শাহআলম হাওলাদার এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএইচ/এমআর