আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া ৩২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এতে এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গুলিশাখালী ইউনিয়নে দশ প্রার্থীর মধ্যে আবদুল খালেক হাওলাদার, মোঃ এনায়েত করিম, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মোঃ জসিম উদ্দিন, কাইয়ুম আহম্মেদ, গোলাম ফারুক, মোঃ মোশাররফ হোসেন মোল্লা, মোঃ রেজাউল করিম কুদ্দস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মোঃ শফিউল আলমের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। আঠারগাছিয়া ইউনিয়নে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক তালুকদার ও জহিরুল ইসলাম খোকনের জামাতন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কুকুয়া ইউনিয়নে ছয় প্রার্থীর মধ্যে মোঃ কায়েসুর রহমান ফকু, ইকবাল হোসেন রুবেল ও চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়য়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুব-উল আলমের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। হলদিয়া ইউনিয়নে আট প্রার্থীর মধ্যে আব্দুল ছালাম মোল্লা, আবু তাহের, ইলিয়াস মৃধা, মুজাহিদুল ইসলাম, মোঃ শাহাজাদা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী আবু তাহের মোঃ হাবীবুল্লাহ সিরাজীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। চাওড়া ইউনিয়নে নয় প্রার্থীর মধ্যে মোঃ তরিকুল ইসলাম নিপু, মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, মোঃ আলতাফ হাওলাদার, মোঃ নজরুল ইসলাম গাজী, মোঃ ফারুক গাজী, জাসদের মোঃ মহিউদ্দিন হাওলাদার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুর রহমানের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আট প্রার্থীর মধ্যে মোঃ মাহবুবুর রহমান জাফর বিশ^াস, সদরুল ইসলাম মানিক, মো. হারুন-অর-রশিদ, মোঃ হুমায়ুন কবির, চরকগাছিয়া বালিয়াতলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ রাকিবুল হাসান দেলোয়ার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মোঃ হাসান গাজীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেয়া এ ৩২ চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রাপ্ত ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এতো প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ায় আমতলীতে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রার্থী বলেন, আমরা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি ঠিকই কিন্তু প্রচার প্রচারনায় অংশ নেইনি। তাই আমরা ভোট পাইনি। তারা আরো বলেন, আমরা নির্বাচনে জনপ্রিয় প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর পক্ষে ভোট গ্রহনের দিন সহযোগীতার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম।
আমতলী নির্বাচন অফিসার মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, বৈধ ও অবৈধ ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সে হিসেবে আমতলী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৩২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাদের টাকা সরকারী খাতে জমা হবে।
এমএইচকে/এমআর