সাগরকন্যা ডেস্ক ॥
সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রধান করে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠনের প্রসঙ্গ টেনে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম সংসদে জানতে চেয়েছেন, ‘আব্দুর রহমান বদিকে (কক্সবাজার থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য) দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আর শাহজাহান খানকে দিয়ে সড়ক নিয়ন্ত্রণ কতটা সম্ভব? গরু-ছাগল চিনলে লাইসেন্স দেওয়া যাবে শাজাহান খানের এই মন্তব্যে সারা দেশে তোলপাড় হয়েছিল। ওনার এক হাসি ওই সময় দেশে কী পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। তাকে দিয়ে সরকারের কতখানি কমিটমেন্ট রক্ষা হবে।’ জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সম্প্রতি দেশে দুর্ঘটনাজনিত পরিস্থিতির কিছু অবনতি ঘটায় আমরা জরুরিভিত্তিতে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা ডেকেছিলাম। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী, পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতা, ইলিয়াস কাঞ্চন, সৈয়দ আবুল মকসুদসহ সড়ক বিশেষজ্ঞরাও ছিলেন, ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের কর্তাব্যক্তি।
তিনি বলেন, ‘সভায় সকলের উপস্থিতিতে সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে একটি সুপারিশমালা তৈরির জন্য ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় যাতে শাজাহান খানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত কেউ এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করেননি। তার (শাজাহান খান) নেতৃত্বে আরও ১৪ জন এই কমিটিতে রয়েছেন। আমরা এখানে ব্যক্তি দেখবো না। অতীতে তার কোনও স্মিত হাসির জন্য কোনও সমস্যার উদ্ভব হয়েছে কিনা তা দেখতে চাইবো না। এই কমিটি সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ও সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে রিপোর্ট কীভাবে পেশ করে তা দেখবো। তার পরিপ্রেেিত আমরা পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবো।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে ব্যক্তি বিষয় নয়। একজনই পুরো রিপোর্টটি প্রণয়ন করবেন না। তিনি যেহেতু অভিজ্ঞ মানুষ সেজন্য তার নামটি এখানে প্রস্তাব করা হয়েছে। এখানে যতটা না আশা করা হচ্ছে তার থেকে ভালো রিপোর্টও তো আসতে পারে।’ অভিজ্ঞ মানুষ হিসেবে শাহজাহান খানকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির প্রধান করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শাজাহান খানকে প্রধান করার সময় উপস্থিত কারও কোনও বিরোধীতা আসেনি। এখানে তার কোনও হাসির জন্য কী সমস্যা উদ্ভূত হয়েছে সেটা দেখবো না। এখানে ব্যক্তি বিষয় না, দেখা হবে তারা সড়কে শৃঙ্খলা আনতে কী সুপারিশ তৈরি করেন, পেশ করেন। তার ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম নেওয়া হবে। আর এখানে যতটা না আশা করা হচ্ছে তার থেকেও ভালো রিপোর্ট তো আসতে পারে।’
অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সড়কে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভিআইপি হয়ে উল্টোপথে চলি। এটা তো স্বাভাবিক বিষয় নয়। ভিআইপিরা অসাধারণ মানুষ, তারা যদি উল্টোপথে চলেন তাহলে সাধারণ মানুষ কী করবেন?