আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি, জীবন নাশের হুমকি, প্রচারে বাঁধা, কর্মী সমর্থকদের মারধর ও মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুর রহমান আসাদ মৃধা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদ মৃধা বলেন, আমি আমতলী উপজেলা যুবলীগ সদস্য। আমার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী পরিবার। স্বাধীনতার পর থেকে আমার পরিবার আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মন্নান মৃধা তিন বার গুলিশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত ২০ বছর ধওে আমি গুলিশাখালী ইউনিয়নে গণ মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকে কাজ করে আসছি। গুলিশাখালী ইউনিয়নের মাটি ও মানুষের সাথে আমি ওতোপ্রোত ভাবে জড়িত। জনগণ আমাকে মনে প্রাণে ভালোবাসে। ওই ইউনিয়নের আমি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম কিন্তু অজ্ঞাত কারনে মনোয়নন বঞ্চিত হই। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে জনগনের ভালোবাসায় স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করি। কিন্তু আওয়ামীলীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির আমার জন সমর্থনে ইর্শান্বিত হয়ে আমার ও আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা, প্রচারে বাধা, অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি, জীবন নাশের হুমকি ও মারধরসহ বিভিন্ন অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। গত ১১ জুন আওয়ামীলীগ প্রার্থী মনিরুল ইসলাম মনি ৪০-৫০ কর্মী সমর্থক নিয়ে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ইউনিয়নের সব এলাকা ঘুরে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে গোজখালী বাজারে উপস্থিত হয়। ওই বাজারে এসে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার ৭ জন কর্মী গুরুতর আহত হয়। তিনি আরো বলেন, গত সোমবার রাতে আমতলী থেকে ৫ টি মোটর সাইকেলে ১৫ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে আমি গ্রামের বাড়ী বাজারখালী যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে খেকুয়ানী বাজারে পৌছা মাত্রই নৌকার ৬০-৭০ কর্মী-সমর্থক ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার ও আমার কর্মী সমর্থকের ওপরে হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমার এক নারী কর্মীসহ ৭ সমর্থক গুরুতর জখম হয়। তারা বরিশাল ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার কর্মী সমর্থকদের মিথ্যা মামলার ফাঁসানোর জন্য ওইদিন রাতে খেকুয়ানী বাজারে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়, কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি তার কর্মী সমর্থকরা ভাংচুর করে। বর্তমানে তারা আমার কর্মী সমর্থকদের মিথ্যা মামলার জড়নোর পায়তারা চালাচ্ছে। তাদের এহেন হীন কর্মকান্ডের নিন্দা জানাই। সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন মোঃ আনিসুর রহমান মৃধা ও মোঃ সাইদুল চৌকিদার।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মনিরুল ইসলাম মনির ও তার লোকজনের ভয়ে আমার কর্মী সমর্থকরা প্রচার প্রচারনা চালাতে পারছেন না। প্রচারনা চালাতে গেলেই জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। এমতবস্থায় আমি পুলিশসহ সর্ব স্তরের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তারা যেভাবে অস্ত্র মহড়া দিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে তাকে সুষ্ঠ ভোট নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনের সহযোগীতা না পেলে আমার প্রচারনা চালানো কঠিন হবে এবং বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির ও তার সমর্থকরা উল্টো আমার নির্বাচনী কার্যালয় ,মাইক ভাংচুর, কর্মী সমর্থকদের মারধর ও প্রচারনায় বাঁধা দিচ্ছেন। তার সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ ভীত সন্ত্রাস্ত।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর