আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর, প্রচারণায় বাঁধা ও কর্মী সমর্থকদের মারধরসহ প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মোঃ আসাদুর রহমান আসাদ মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে বরগুনা আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ নিার্বচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমাকে মনোনয়ন দেয়ায় ইউনিয়নের সর্ব স্তরের মানুষ আনন্দিত এবং তারা আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মোঃ আসাদুর রহমান আসাদ আমার জন সমর্থণ দেখে ইর্শান্বিত হয়ে আমার এবং আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা ভয়ভীতি ও প্রচারে বাধাসহ বিভিন্ন অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কর্মী সমর্থকদের মারধর ও অফিস ভাংচুর করেছে। গত ১১ জুন আমি ৪০-৫০ জন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আমি গোজখালী বাজারে উপস্থিত হই। কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আসাদ মৃধা ও তার লোকজন আমার এবং আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার ছয়জন কর্মী আহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত সোমবার রাতে আমি খেকুয়ানী বাজারে পথসভা করি। ওই পথ সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ও উপজেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুস সোবাহান লিটনসহ উপজেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল। ওই পথ সভা রাত সাড়ে ১০ টায় শেষ হয়। পথ সভা শেষে আমার কর্মী সমর্থকরা বাড়ী যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আসাদ মৃৃধার কর্মী সমর্থকরা আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার ছয় কর্মী আহত হয়েছে। শুধু কর্মীদের মারধর করেই তারা খ্যান্ত হয়নি। খেকুয়ানী বাজারে আমার নির্বচনী কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করেছে। এমন নেক্কারজনক কাজে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আসাদ মৃধার প্রতি মানুষ ক্ষুব্ধ। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আসাদ মৃধা ও তার লোকজনের ভয়ে আমার কর্মী সমর্থকরা প্রচার প্রচারনা চালাতে পারছেন না। প্রচারনা চালাতে গেলেই জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে তারা। এমতবস্থায় আমি পুলিশসহ সর্ব স্তরের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। প্রশাসন আমাকে সহযোগীতা না করলে আমার প্রচারনা চালানো কঠিন হবে এবং বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি মোঃ আল আমিন মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুস সোবাহান লিটন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন মৃধা, সহ-সভাপতি মোঃ লিটন জোমাদ্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহাগ মৃধা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ হারুন অর রশিদসহ অর্ধ শতাধিক কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিল।
এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আসাদুর রহমান আসাদ মৃধা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আওয়ামীলীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির ও তার সমর্থকরা উল্টো আমার অফিস,মাইক ভাংচুর, কর্মী সমর্থকদের মারধর ও প্রচারনায় বাঁধা দিচ্ছেন। তার সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ ভীত সন্ত্রাস্ত। তিনি আরো বলেন, তারা তাদের অফিস, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভেঙ্গে আমার লোকজনকে ফাঁসানোর পায়তারা চালাচ্ছেন।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর