দশমিনায় ঘূর্ণীঝড় ইয়াসে আম ও মাল্টার ক্ষয়ক্ষতি

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দশমিনায় ঘূর্ণীঝড় ইয়াসে আম ও মাল্টার ক্ষয়ক্ষতি
সোমবার ● ৩১ মে ২০২১


দশমিনায় ঘূর্ণীঝড় ইয়াসে আম ও মাল্টার ক্ষয়ক্ষতি

দশমিনা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

ভেন্ডি (ঢেঁড়স) চাষে ১৯৯৮ সালে জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন গ্রামে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে কৃষক সুলতান সরদারের আম ও মাল্টার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে বাগান পরিদর্শন করেছে প্রশাসন।
গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিনের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি টিম বাগান পরিদর্শণ করেন। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু জাফর আহাম্মেদ, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ্যাড. ইকবাল মাহামুদ লিটন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মো. নাঈিদ হাসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত সুলতান সরদার জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে নিজের ফেলে রাখা জমিতে ফল বাগান করার ই”েছ জাগে। চারা রোপণের আগে জমিতে গর্ত করা শেষে প্রতিটি গর্তে ২০ কেজি গোবর, ২০০ গ্রাম পটাশ, ৪০০ গ্রাম টিএসপি, ২০০ গ্রাম চুন এবং ২০ থেকে ২৫ কেজি মাটি মিশিয়েছেন। ১০ দিন পর গর্তে চারা রোপণ করেছেন। বর্তমানে বারি আম-৩, ৪ ও ৮ জাতের ৩শ’টি ও বারি মাল্টা-১ জাতের ২শ’টি রয়েছে। আর নিবিড় পরিচর্যা করতে হ”েছ। বর্তমানে তাঁর লাগানো সবগুলোতে ফলন এসেছে। ঘূনিঝড় ইয়াসের পুর্ব থেকেই প্রচন্ড তাপ দাহে গাছের আম ঝড়ে পড়ে পড়তে শুরু হয়। ইয়াসের কারনে আমার প্রায় দুই তিন লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাগানে আম ও মাল্টার পাশাপাশি আপেল কুল, পেয়ারা, লেবু, মিষ্টি কামরাঙা, কলা, কাঁঠাল, খাটো জাতের নারিকেল ও জলপাইসহ বার মাসের সব সবজির আছে। কিš‘ ঘূনিঝড় ইয়াসে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা আগামী দুই বছর লাগবে কেটে উঠতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর আহাম্মেদ বলেন, আম ও মাল্টার চাষে উপজেলায় তিনি প্রথম। তবে সুলতান সরদারের দেখাদেখিতে এখন অনেকে চাষ করছেন। কৃষিতে অবদান রাখায় ভেন্ডি (ঢেঁড়স) চাষে ১৯৯৮ সালে জাতীয় পুরুস্কার অর্জন করেন তিনি।


এসবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৯:০৭ ● ২৬২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ