সিলেট সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপন

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » সিলেট সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপন
রবিবার ● ৩০ মে ২০২১


সিলেট সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপন

সুনামগঞ্জ (সিলেট) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ গ্রহণকারী সকল দেশের শান্তিরক্ষীদের অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপিত হয়েছে।
জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত সদস্যগণ বৈশি^ক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে আত্বত্যাগ করেছেন, তা স্মরণীয় করার লক্ষে বিশ^ ব্যাপী ২৯ মে আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা দিবস পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার  (২৯ মে) সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী ও পুলিশের যে সকল সদস্য জাতি সংঘের বিভিন্ন মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সর্ব্বোচ্য আত্বত্যাগ  কিংবা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের সকলের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নিমিক্তে সিলেট এরিয়া ও ১৭ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়  সিলেট সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২১ যথাযত মর্যাদার সাথে উদযাপিত হয়।

এ উপলক্ষে সিলেট সেনানিবাসে শান্তিরক্ষার স্মৃতি (‘চবধপবশববঢ়বৎ’ংঈড়সসবহসড়ৎধঃরড়হ,) ননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসাবে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটি উদযাপন অনুষ্ঠানের শুভারম্ভর করেন ১৭ পদাতিক ডিভিশন সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার বিজিবিএম, পিবিজিএম, এনডিসি, এএফডব্লিউসি,পিএসসি,জিওসি।
এরপর প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্বত্যাগ ও বীরত্বের কথা উল্ল্যেখ করে বলেন যে, ৩৩ বছর ধরে পেশাদারিত্ব কর্তব্য নিষ্ঠা এবং অভিজ্ঞতার কারনে আজ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী গণ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় আদর্শ হিসাবে স্বীকৃত।
তিনি আরো বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর দুরদর্শীতা সংবিধানের দিক নির্দেশনা, মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুপ্রেরণা,প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আমাদের শান্তিরক্ষীদের অবদান উওরোওর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা বিশ্ব শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ শান্তিরক্ষী বাহিনীর আসনে অধিষ্ঠিত। এরই ধারাবাহিকতায় সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানের সাম্প্রতিক সফরের ফল সরুপ জাতি সংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের সদর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের অফিসারদের অন্তর্ভুক্তি নি:সন্দেহে আমাদের জন্য আশা ব্যঞ্জক ও গৌরবের একটি বিষয়। বিশ্বের শান্তি রক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সেনা, নৌ,বিমান ও পুলিশ বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্ব্বোচ্য ত্যাগের জন্য সদা প্রস্তুত।ভবিষ্যতেও এই ধারাহিকতায় বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।।
উল্ল্যেখ যে,পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ১৯৪৮ সাল হতে শান্তি রক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও বাংলাদেশ ১৯৮৮ সালের আগষ্ট মাস হতে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রয়ানের সাথে সম্পৃক্ত হয়।
বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে মোট ১০টি দেশে ৬৭৪৩ জন সামরিক ও পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছেন।
শান্তিরক্ষার এই সুমহান দায়িত্ব পালন কালে বিভিন্ন সময়ে সশ্রস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের ১৫৯ জন সদস্য জীবনোৎস্বর্গ করেছেন এবং ২৪০ জন সদস্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার,পুলিশের সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি,এসএমপির কমিশনার,সিলেট এরিয়ার সামরিক সদস্যগণ,পদস্থ্য অসামরিক কর্মকর্তা, বমান বাহিনী,পুলিশ বিজিবি,র‌্যাব,স্থানীয় ইউএন প্রতিনিধি,সাংবাদিক সহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যবৃন্ধ উপস্থিত ছিলেন।


এইচএসএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪১:৩১ ● ৭৭৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ