চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বঙ্গপোসাগরের কোলঘেষেঁ অবস্থিত কুকরি-মুকরি, ঢালচর, মুজিব নগর ও চর মানিকা, হাজারীগঞ্জ, নুরাবাদ, নীলকমলসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়েনে প্রায় ৫শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৮ মে) কয়েকটি স্পটে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে পূর্নাঙ্গ তালিকা এখনও উপজেলা প্রশাসনের কাছে পৌছেনি। তালিকা তৈরীর কাজ চলছে বলেও নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এসব ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানির তীব্রতায় পুকুর জলাশয় ও মাছের ঘেরসহ বাড়িঘর এবং দোকানপাট তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ১৫হাজার মানুষ। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানগণ অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ করেন।
কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের অসহায় পরিবারের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন। তিনি জানান,কুকরি-মুকরিতে রাস্তাঘাটসহ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও পুকুর ও মাছের ঘের ডুবে গেছে অনেক খামারির। এসব পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন,৪০টি ঘরসহ শতাধিক দোকান ও রাস্তাঘাট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ধ্বংস হয়েছে। ঢালচর ও চর নিজামের শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি ৫০হাজার টাকা দিয়েছেন। এসব পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারসহ নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। হাজারীগঞ্জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক বলেন, ইয়াসে তার স্কুলটি মাটিতে পড়ে গেছে। আগামী ১৩জুন বিদ্যালয় খোলা যদি মেরামত করা না হয় তাহলে শিক্ষার্থীগন ক্লাস করতে খুবই সমস্যা হবে।
নীলকমল নুরাবাদ,হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের শতাধীক পরিবারের মাঝে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার,আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন ও আলমগীর হাওলাদারসহ অন্যান্যরা নগদ অর্থ সহায়তা ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন বলেও মুঠোফোনে জানান। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন -২ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন,উপজেলার বেতুয়াসহ ৩টি পয়েন্টে ২৫০ মিটার এলাকা আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব বাঁধগুলো মাটি ও জিওব্যাগ দ্বারা মেরামত করা হচ্ছে। এছাড়াও ২টি পয়েন্টে বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধিতে ৩০০ মিটার মাটি ও সিনথেটিক ব্যাগ দ্বারা মেরামতসহ উচ্চতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, ৫শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন,দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও রাস্তা-ঘাট বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। স্থানীয় ভাবে তথ্য সংগ্রহের করা হচ্ছে।
এএইচ/এমআর