আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানি বৃদ্ধির হাত থেকে কয়েক শত কৃষককের পানের বরজ রক্ষায় স্লুইজগেট বন্ধ করায় আমতলী উপজেলার ইউনুস আলী খান ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শাহিনকে সালেহা বেগম নামের এক নারী লাঞ্চিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে আমতলী থানায় জিডি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারে বুধবার দুপুরে। এ ঘটনার সাথে জড়িত নারী সালেহার শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পায়রা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কয়েক শত পান বরজ কৃষকের বেশ ক্ষতি হচ্ছে। ওই ক্ষতি থেকে রক্ষায় কৃষকরা আমড়াগাছিয়া স্লুইজগেট বন্ধ করা জন্য স্লুইজগেট পরিচালক ইউনুস আলী খান কলেজের প্রভাষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে দাবী করেন। কৃষকের ক্ষতির কথা ভেবে শতাধিক কৃষক নিয়ে শাহিন মঙ্গলবার রাতে ওই স্লুইজগেট বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় আমড়াগাছিয়া বাজারের সাহেলা বেগম নামের এক নারী। রবিবার দুপুরে শাহিন বাজারে আসা মাত্রই ওই নারী তাকে লাঞ্চিত করে। সালেহা বেগমের দাবী স্লুইজগেট বন্ধ করায় নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তার বয়লার মুরগীর খামার তলিয়ে গেছে। এতে তার বেশ ক্ষতি হয়েছে। তাই তিনি স্লুইজগেট পরিচালক প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিনকে লাঞ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার সাথে জড়িত ওই নারীর শাস্তি দাবী করেছেন। এ ঘটনায় বুধবার শাহিন বাদী জয়ে সালেহা বেগমের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় জিডি করেছেন। পুলিশ ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ওই নারী আমড়াগাছিয়া বাজারের জমি দখলসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। সামান্য ঘটনায়ই তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানী করে টাকা হাতিয়ে নেয়। তার অত্যাচারের ওই বাজারের মানুষ অতিষ্ট। ইতিমধ্যে তিনি মন্টু সরদার, রুবেল সরদার ও খালেক সরদারসহ বিভিন্ন জনের নামে অন্তত এক ডজন মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শানু হাওলাদার ও রিপন হাওলাদার বলেন, কৃষককের সুবিধার জন্য স্লুইজগেট বন্ধ করায় সাহেলা কলেজ প্রভাষক মোঃ শাহিনকে লাঞ্চিত করেছে। তারা আরো বলেন, এটা নেহায়েত অন্যায়। এ ঘটনার শাস্তি দাবী করেন তারা।
পান বরজ মালিক খবির উদ্দিন, আব্দুর রহিম বেপারী, মোয়াজ্জেম চৌকিদার, বাদল দফাদার ও স্বপন চৌকিদার বলেন, স্লুইগগেট দিয়ে পানি ভিতরে প্রবেশ করে পানের বরজের বেশ ক্ষতি হয়। ওই ক্ষতি থেকে রক্ষায় স্লুইজগেট বন্ধ করার জন্য শাহিনের কাছে দাবী করি। আমাদের দাবী রক্ষা করতে গিয়ে তিনি লাঞ্চনার শিকার হয়েছে। আমরা এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী ইউনুস আলী খান কলেজের প্রভাষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন বলেন, কয়েক শত কৃষকের দাবী রক্ষায় স্লুইজগেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে আমাকে সালেহা লাঞ্চিত করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর