আমতলীতে সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ আহত-৪

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ আহত-৪
রবিবার ● ২৩ মে ২০২১


আমতলীতে সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ আহত-৪

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার আমতলী বাঁধঘাট বটতলা রয়েল হোটেলে দু’পক্ষের হামলায় পৌর কাউন্সিলর মোঃ জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি, ছেলে রিসান ও তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম আহত হয়েছে। আহত তিনজনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার (২৩ মে) দুপুর দুইটার দিকে।
জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকার বাসিন্দা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান মুন্সির ছেলে আল খালিদ রিসান ঢাকা পলিটেকনিক্যাল কলেজে লেখাপাড়া করে। করোনার কারনে বর্তমান বাড়ীতে অবস্থান করছে। পৌরসভার বটতলা এলাকার নাদিম, জাহিদুল ইসলাম ও  জিনানসহ ১০-১২ জনের কিশোর গ্যাং তার ছেলেকে তাদের সাথে সঙ্গ দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।  কিন্তু রিসান তাদের সাথে সঙ্গ দিতে রাজি হয়নি। পরে রিসান কিশোর গ্যাংদের এমন আচরণের তার বাবা সিদ্দিুকর রহমানের কাছে বলে। বটতলা এলাকার কিশোর গ্যাং নাদিম, জাহিদুল ইসলাম ও  জিনানসহ ১০-১২ জনকে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল পালন পালন করে থাকেন এমন দাবী সিদ্দিকুর রহমানের। রবিবার সিদ্দিকুর রহমান কাউন্সিলর জুয়েলের কাছে কিশোর গ্যাংরা তার ছেলের সাথে খারাপ আচরণের বিষয়টি জানান। এনিয়ে দুজনের মধ্যে মুঠোফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার পরপর কাউন্সিলর জুয়েল বাঁধঘাট বটতলা রয়েল হোটেলে বসেছিল। ওই হোটেলে সিদ্দিকুর রহমান কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল ও  কিশোর গ্যাং নাদিম, জাহিদুল ইসলাম ও জিনানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সিদ্দিুকর রহমানের স্ত্রী হোসনেয়ার ও ছেলে আল খালিদ রিসান ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় এমন দাবী সিদ্দিকুর রহমান মুন্সির।  কাউন্সিলর জুয়েল দাবী করেন সিদ্দিুকর রহমানের স্ত্রী হোসনেয়ারা ঘটনাস্থলে এসে মরিচের গুড়ো নিক্ষেপ করে। এতে কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি  তার স্ত্রী স্কুল শিক্ষক হোসনেয়ারা বেগম ও ছেলে রিসান আহত হয়। আহত কাউন্সিলর জুয়েল, সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি ও হোসনেয়ারাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। জাহিদুল ইসলাম জুয়েল আরো দাবী করেন সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি তার লোকজনের উপর হামলা করেছে এবং রয়েল হোটেল ভাংচুর করেছে। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, রয়েল হোটেলে কাউন্সিলর জুয়েল ও  সিদ্দিকের মধ্যে মারধর ঘটনা ঘটেছে।
আহত সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি বলেন, আমার ছেলে রিসানকে কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েলের পালিত কিশোর গ্যাংদের সাথে চলাফেরা করতে বলে। আমি এ বিষয়টি জুয়েলকে জানিয়ে প্রতিবাদ করলে আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয় কাউন্সিলর জুয়েল। এ বিষয় নিয়ে রয়েল হোটেলে জুয়েলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় তিনি ও তার পালিত কিশোর গ্যাং  নাদিম, জাহিদুল ইসলাম ও  জিনানসহ ১০-১২ জনে আমাকে আমার স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করেছে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বলেন, সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি আমাকে এবং আমার লোকজনের উপর হামলা করেছে। দ্বিতীয় দফায় আমার অফিস ঘর ভাংচুর করেছে এবং হুমায়ুন নামের এক সমর্থককে মারধর করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হিমাদ্রী বলেন, আহত তিনজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৩:২৩ ● ৫৬১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ