কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র জায়গা দখলের হিড়িক পরেছে। এনিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বার বার শিরোনাম হলেও অজানা কারনে প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার। এমনকি স্থানীয় কতিপয় অসাধু মিডিয়া কর্মীদের আতাতের মাধ্যমে এ বাণিজ্য নিরবে চলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, মহিপুর মৎস্য বন্দরে ঢুকতে শেখ রাসেল সেতুর পাশ ঘেষে পাউবো’র জায়গা স্থানীয় ভূমি খেকোরা যে যার মতো অবৈধভাবে দখল করে নিচ্ছে। এবিষয়ে শুক্রবার (১৪ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মো. জাকির হোসেনের স্বত্বাধিকারী মাঝারি হোটেল এন্ড মুসলিম মিষ্টান্ন ভান্ডার ও তার পাশে হোসেন সাঈদ পৃথক পৃথকভাবে দুইটি প্লটে ইট দিয়ে স্থায়ী বিল্ডিং নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে। আরও জানা যায়, তাদের কাছে পাউবো’র বৈধ কোন কাগজ পত্র না থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যেই দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে সুশীল সমাজের মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান,পাউবো’র কোন বৈধ কাগজ-পত্র না থাকা স্বত্তেও কিভাবে তারা এধরনের অবৈধ দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। অতিদ্রুত প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এ দখলবাজি চরম পর্যায়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। নাম না বলার শর্তে অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রশাসনের চোখের সামনেই তো এগুলো ঘটছে। তারা তো দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছে। প্রশাসন কঠোর হলে তো আর এধরনের অবৈধ দখল করার সাহস কেউ পেতো না।
এবিষয়ে মাঝারি হোটেল এন্ড মুসলিম মিষ্টান্ন ভান্ডার এর স্বত্বাধিকারী মো. জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাউবো’র যতটুকু কাগজ-পত্র দরকার তা আমার কাছে রয়েছে। পাউবো’র জায়গায় ঘর উঠানোর বিষয়ে আরেক দখলদার হোসেন সাঈদের কাছে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় জনৈক মিডিয়াকর্মীর সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী জানান,আমি গত পাঁচদিন আগে এখানে যোগদান করেছি, কারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে তুলছে সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা,তবে আমি আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসকেআর/এমআর