কলাপাড়ায় দু’কি.মি রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধে জনদূর্ভোগ!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় দু’কি.মি রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধে জনদূর্ভোগ!
মঙ্গলবার ● ১১ মে ২০২১


কলাপাড়ায় দু’কি.মি রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধে জনদূর্ভোগ!

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে লোন্দা গ্রামে একটি সড়ক পাকাকরণ কাজ বন্ধ থাকায় জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কাজ শুরু করার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রাস্তার মাঝখানের মাটির বেড কেটে দু’পাশে ফেলে রেখে ঠিকাদার লাপাওা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপতরের দু’মাস পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকায় কৃষক ও সাধারন মানুষের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। লোন্দা গ্রামে মাটির কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ করার জন্য দু’মাস আগে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। অথচ এই রাস্তা ব্যবহার করে প্রতিদিন শত শত মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য উপজেলা সদরের সাথে যাতায়াত করতে হয়ও ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার লোক দু’টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র যাতায়াত করে। ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, শুধু ঠিকাদার রাস্তার মাঝখানের মাটি কেটে দু’পাশে ফেলে রেখেছে। কয়েক মাস ধরে অনাবৃষ্টি থাকায় কৃষক ও সাধারন মানুষের কোনো চলাচল কোনো সমস্যা হযনি। পায়ে হেঁটে ও গাড়িতে চলাচল করতে পারছে এখন গত তিন-চার ধরে বৃষ্টিতে এখন পানি জমে ছোট মিনি পুকুরের মত হয়ে রাস্তা এখন পানিতে একাকার হয়ে গেছে। কোনো কোনো জায়গা কোমর সমান আবার কোন জায়গা হ্াঁটু সমান পানি জমা হয়ে থাকছে সড়কটিতে। বালী না ফেলায় ওই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ওই রাস্তাটি নির্মাণ কাজ না করায় এখন শত শত পরিবারের ভোগান্তি। কাদাপানি গাঁয়ে জামা কাপড়ে লাগিয়ে চলাচল করতে হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপতরের(এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি নির্মানে প্রায় দুই মাস আগে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। নতুন করে যে রাস্তাটি নির্মিত হচ্ছে তার ব্যয় ধরা হচ্ছে এক কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
স্থানীয় অনেকেই আক্ষেপ করে জানান, বিকল্প রাস্তা না থাকায় এটি আমাদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। আগে মাটির রাস্তা ছিল আমরা কষ্টেশিষ্টে যাতায়াত করছিলাম। কিন্তু উন্নয়ন নামে দীর্ঘকাল সেই রাস্তায় মাটি কেটে বালি না ফেলে এখন পানি জমে পুকুরের মত তৈরি হয়েছে। আমাদের হেঁটে চলাফেরাই এখন কষ্টসাধ্য। বর্তমানে জনদুর্ভোগ লাঘবে  শথ শত  পরিবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের  সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
লোন্দা গ্রামের মো.শহিদুল আলম জানান, এই এলাকা খুবই অবহেলিত এলাকা। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার লোক দু’টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র যাতায়াত করে। প্রায় আড়াই মাস ধরে কাজটি পড়ে রয়েছে। বর্তমানে ৩/৪ ফুট পানি জমা হয়ে আছে।  এলাকার লোকজনের চলাচল করতে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ধানখালী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি মো.শাহজাদা পারভেজ টিনু মৃধা জানান, ওই রাস্তা নিয়ে এলাকার জনগন খুবই দুর্ভোগে আছে। যাতে তারাতারি ঠিকাদার বর্ষা মওসুম আসার আগে রাস্তার কাজটি দ্রুত গতিতে করে এটুকু আমার আহবান।
পটুয়াখালীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস দেলোয়ার হোসেন ট্রের্ডাসের মালিক মো.দেলেয়ার হোসেন জানান, স্থানীয় লোকজনের বালী নিয়ে ঝামেলার কারনে কাজে বিলম্ব হয়েছে। ওই গ্রামের লোকজন বালির রেট বেশি চাচ্ছে আমার অফিস থেকে যে রেট দেয়া তার চেয়ে অনেক বেশি দাম চাচ্ছে। তার পরও আমি বালি নেয়ার ব্যবস্থা করছি। বালির নেয়ার জন্য  ড্রেজার বসানো হয়েছে।
কলাপাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপতর (এলজিইডিÑ প্রকৌশলৗ মো. মোহর আলী জানান, ঠিকাদার কাজ করতে চায় কিন্তু স্থানীয় লোকজন ঠিকাদারকে বালির পাইপ পর্যন্ত জমি দিয়ে নিতে দেয় না। তাহলে ঠিকাদার কিভাবে কাজ করবে। এজন্য কাজের ধির গতি।

এইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৯:০৩ ● ৩৭৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ