আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের শতাধিক জিলাপী, বাবল ও খেজুর গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে বিএনপি নেতা ভুমি দস্যু মোঃ কালাম হাওলাদার ও তার ছেল আসাদ। বন্যা নিয়ন্ত্রণ এক কিলোমিটার বাঁধের শনিবার এ গাছগুলো প্রকাশ্য দিবালোকে কালাম ও তার ছেলে আসাদসহ ১০-১২ জনে কেটে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ভুমি দস্যূ কালাম ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানাগেছে, ১৯৬৫ সালে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর দপ্তর আমতলীতে স্থাপন করেন। ওই অফিস সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে বাবল, জিলাপি ও খেজুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। ওই গাছ বর্তমানে বৃহৎ গাছে পরিনত হয়েছে। ওই গাছের প্রতি লেলুপ দৃষ্টি পড়ে চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভুমি দস্যু মোঃ কালাম হাওলাদার ও তার ছেলে আসাদ হাওলাদারের। শনিবার সকালে কালাম ও তার ছেলে আসাদ ১০-১২ জন লোক নিয়ে গাছ কাটতে শুরু করে। ওইদিন দুপুর তিনটা পর্যন্ত দেদারসে তারা গাছ কেটে মাটিয়ে লুটিয়ে রাখে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন কালাম ও তার ছেলে প্রায়ই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেনে নিয়ে যায়। তারা আরো বলেন কালাম ও তার ছেলে আসাদসহ ১০-১২ জন লোকে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে। এছাড়াও তারা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের জমি দখল করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে কালামের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ওইদিন বিকেলে চারটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কালাম তার ছেলে আসাদসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, কালাম ও তার ছেলে আসাদ বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের গাছ প্রায়ই কেটে নিয়ে যায়। বাবা ও ছেলেকে কেউ প্রতিহত করতে পারে না। শনিবার সকালে বাবা ছেলে মিলে ১০-১২ জন লোক নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাবল, জিলাপি ও খেজুর গাছসহ অন্তত শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে।
এ বিষয়ে চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কালাম হাওলাদার গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, বাবার জমির সীমানার গাছ কেটেছি।
আমতলী থানার এসআই মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে গাছ কাটা পেয়েছি। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে গেছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান সুজন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কায়েসুর আলম বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের গাছ কাটা মহা-অন্যায়। যারা গাছ কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর