আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী পৌর শহরের বাসিন্দা মোঃ ফয়সাল আহম্মেদের বাসায় হামলা চালিয়ে টাকা ও স্বণালংকার লুঠ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনজন আহত হয়। এ ঘটনায় মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ সোমবার রাতে আমতলী থানায় জালাল আহম্মেদকে প্রধান আসামী করে পাঁচ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে।
জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের বাসিন্দা মোঃ আবু হানিফ ১৯৯২ সালে সৌদি আরব চলে যান। ওইখানে তিনি ব্যবসা করে প্রচুর বিত্ত বৈভবের মালিক হন। আমতলীতে তিনি বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। ওই ভবন, মার্কেট এবং তার সমুদয় অর্থ সম্পদ দেখভাল করতেন তার ছোট ভাই মোঃ জালাল আহম্মেদ। কিন্তু তিনি ভাইয়ের অর্থ সম্পদ দেখভালের সুবাদে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগ প্রবাসী আবু হানিফের। প্রবাসী আবু হানিফ ছোট ভাই জালালের এমন কু-কর্ম ধরে ফেলেন। পরে তিনি তার ভাগ্নে মোঃ ফয়সাল আহম্মেদকে তার সমুদয় অর্থ সম্পদ দেখভাল করার দায়িত্ব দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় জালাল আহম্মেদ। শুক্রবার রাতে জালাল আহম্মেদ ভারাটে সন্ত্রাসী নিয়ে ভাগ্নে ফয়সালের বাসায় হামলা চালায়। এতে ফুয়াদ, ফিরোজ ও মমতাজ বেগম আহত হয়। আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সন্ত্রাসী দুলাল, স্বপন, খোকন ও মিমিক ওই বাসার আলমিরা ভেঙ্গে নগদ এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, ৫ ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে যায় এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ঘটনার সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে আমতলী থানায় ফয়সাল আহম্মেদ বাদী হয়ে জালাল আহম্মেদকে প্রধান আসামী করে পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান ওসি শাহ আলম হাওলাদার।
মামলার বাদী মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, মামা আবু হানিফ সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকে তার সমুদয় অর্থ সম্পদ তার ভাই জালাল দেখাশুনা করতো। কিন্তু তিনি দেখাশুনার আড়ালে অনেক অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়টি মামা আবু হানিফের কাছে ধরা পরলে তিনি তাকে অব্যহতি দিয়ে আমাকে তার সকল সম্পদ দেখাশুনা করার দায়িত্ব দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাসায় জালাল আহম্মেদ ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করেছে। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাদের মারধর করে নগদ টাকা, স্বর্নালংকার লুট করে নিয়েছে এবং বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার এসআই মোঃ সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফয়সালের বাসার আলমিরা ও আসবাবপত্র ভাঙ্গা পেয়েছি। আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এমএইচকে/এমআর