চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশন উপজেলাধীন দক্ষিন শিবাজমিলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ইলিয়াস মাস্টারের কারসাজিতে জাল সার্টিফিকেটধারী ব্যাক্তিকে চাকরি পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইলিয়াস মাস্টার মোটা অংকের টাকা খেয়ে সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য গনের স্বাক্ষর এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালজালিয়াতি করে, নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্ন করেন।
ঈাশাপাশি নিয়োগ পরিক্ষায় শাহাবুদ্দিন পিতা মতলব পাটওয়ারী, মাতা- ফাতেমা বেগম কে নির্বাচিত করে ইলিয়াস মাস্টার, অথচ তথ্য নিয়ে জানাযায় মোঃ শিহাব উদ্দিন পিতা আবদূর রব, মাতা-আছিয়া নামের এক ব্যাক্তির সার্টিফিকেটসহ সকল কাগজপত্র ও ছবি দেখিয়ে শাহাবুদ্দিনকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে গত বছরের ২৮ আগষ্ট নিয়োগ দেখিয়ে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল অনলাইনে এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদন করেন ।
অন্য দিকে রূপালি ব্যাংক লিমিটেড এর চরফ্যাশন শাখায় হিসাব খোলা হয়েছে শাহাবুদ্দিন এর নামে কিন্তু এখানে পিতা মাতার নাম ব্যবহার করা হয়েছে শিহাব উদ্দিনের, যাহার হিসাব নং ৩৩৩৫০১১০১৮৫৯৭ এটিকে এমপিওর আবেদনে দেয়া হয়েছে।
নিয়োগ পরিক্ষার এক প্রার্থী চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক নুজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার সার্টিফিকেটসহ সকল কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ইলিয়াছ মাস্টারকে টাকা না দিতে পারায় হেরে গেলেন তিনি। তিনি আরোও বলেন, এই নিয়োগ স্থগিত হওয়ার পরে নতুন করে কারসাজি করে ২০১৮ সালের একটি ভূয়া নিয়োগ দেখিয়ে আবারও ইলিয়াস মাস্টারের পছন্দের প্রার্থীকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিবেন এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য জানান তিনি পরিক্ষার ফলাফলে সাক্ষও করেননি এবং তিনি সাক্ষও ইংলিশে করেন না, তিনি সকল খাতা পত্রে বাংলায় সাক্ষর করেন।
প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত সুপার মাও: আবুল বাশার জানান, তিনি চলতি বছরের ৩১ মার্চ মাদ্রাসা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি কর্মরত থাকাকালীন ওই মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে কাউকে নিয়োগ দেননি। নিয়োগ প্রক্রিৃয়ার কোনো কাগজে তিনি স্বাক্ষর করেনি এবং মিটিং এর বিষয়ে তাকে জানানো হয়নি, তিনি আরও বলেন, তার স্বাক্ষরকে ইলিয়াছ মাস্টার জালজালিয়াতি করেছে। এবং এই এমপিও যাতে না হয় সে জন্য বন্ধ রাখতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবর চিঠিও দেন মাও: আবুল বাশার।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার নুরুল আমিন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- ওই নিয়োগের কার্যক্রম স্থগিত করা হচ্ছে।
এসব বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ওই নিয়োগ তার যোগদানের আগে হয়েছে। এমপিও ভুক্তির অনলাইন আবেদনের সময় কম থাকায় কাগজপত্র ততটা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগের বিষয়টি ডিজি অফিস যাচাই-বাছাই করবে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এএইচ/এমআর