নেছারাবাদে জাটকা ও ছোট মাছ নিধনের মহোৎসব

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নেছারাবাদে জাটকা ও ছোট মাছ নিধনের মহোৎসব
সোমবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২১


নেছারাবাদে জাটকা ও ছোট মাছ নিধনের মহোৎসব

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

নেছারাবাদে বেড়জালে জাটকা ও চরগড়ায় ছোট মাছ নিধনের মহোৎসব চলছে। উপজেলা সদরের পৌর এলাকার পার্শবর্তী সন্ধ্যা নদীতে প্রতিনিয়ত বেড় জাল দিয়ে জাটকা নিধন করা হচ্ছে।  উপজেলার ফেরিঘাট ও ছারছীনা পীর সাহেবের বাড়ীর সামনে, অলংকারকাঠি-মাগুরারর সন্ধ্যা নদীর চরেচরগড়া দিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট মাছ নিধন চলে অহরহ। উপজেলা মৎস্য অফিসকে বার বার জানানো হলেও  প্রতিকারে কোন উদ্যোগ নেই তাদের।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দক্ষিন স্বরূপকাঠি (গনমান) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে একদল লোক  দ্রুত বেড় জাল তুলতে ব্যস্ত। এসময় নদীর তীরে জনপ্রতিনিধি স্বপন, মো. আবুল হোসেন ও এলাকার মো. ফরহাদ তীরে ছিল। ওইখানে পৌছিলে দেখাযায় বিদ্যালয়ের পেছনের বাড়ীর বেশ ক’জন মহিলা দৌড়ে নদীতে নেমে তড়িঘরি করে জাল টেনে নৌকায় জাল ভরে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করে। এ অবস্থায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল হককে জানান হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।  দেড় ঘন্টা পরে ফোন দিয়ে বলেন ফোনের কাছে ছিলাম না। এরই মধ্যে জেলেরা জাল নিয়ে নিরাপদে সড়ে পরতে সক্ষম হয়। সোমবার পুনরায় ওই এলাকায় বেরজাল দিয়ে একই জেলেদেও মাছ ধরতে দেখা গেছে। খবর পেয়ে বিষয়টি মৎস্য অফিসারকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে সাগরকন্যাকে জানান। কোথায় আছেন জানতে চাইলে বলেন বাসায়। অনেক জিজ্ঞাসার একপর্যায়ে বলেন বরিশালে বাসায় রয়েছেন। পরে ওই এলাকায় গিয়ে জাল বা জেলেদের আর পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক যুবক বলেন, আপনারা আসার কিছুক্ষন পূর্বে মসজিদের সামনে থাকা এক লোক ফোন পান। এরপর সে ফোন করে বলতে থাকেন জাল নিয়ে দ্রুত সরে পর। তিনি জানান মসজিদের সামনে দোকানে লোক বসা থাকে ম্যাজিষ্ট্রেট নামার আগেই তারা ফোন পেয়ে সব কিছু সামলিয়ে ফেলে।  তিনি জানান ওই বাড়ীর নাসির, ওবায়দুল, সুমন মেহেদী, লালু, মোস্তফা, মিলন এবং পাশের বাড়ীর জিহাদ নামে একজন জাল পাতার নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।  তিনি আরো বলেন, মৎস্য অফিসে দীর্ঘদিন কর্মরত এলাকার লোকজনের সাথে  এদের দহরম মহরম রয়েছে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বশির গাজীকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

আরএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫০:২১ ● ৭৭০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ