বামনা (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার বামনা উপজেলায় কয়েকদিন ধরে ডায়েরিয়ার প্রকোপ ভয়াবাহ আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ডায়েরিয়া রোগীদের দখলে। রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড সংকটের কারনে রোগীরা এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন মেঝেতে। এদিকে মাত্রাতিরিক্ত রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ৬৪ জন রোগী ভর্তি আছে। এবং এ পর্যন্ত ৯৪ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্হ হয়ে বাড়ী পৌছেছেন। তবে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলছে।
বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ডায়েরিয়া বিভাগ বহু আগেই রোগীতে ভর্তি হয়ে আছে। বর্তমানে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কোন সিট খালি না থাকায় বারান্দা ও মেঝেতে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা সাহেরা বেগম (৩৫) নামে এক রোগী জানান, কয়েকদিন ধরে পাতলা পায়খানা ও বমি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েও অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছি। ভর্তি হয়ে স্যালাইল সংকট থাকায় বাহির থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও অতিরিক্ত দামে স্যালাইন ক্রয় করি। তবে এখন স্যালাইনসহ যাবতীয় ঔষধ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সুলতানা নাদিরা ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বরগুনা জেলায় ১৫ হাজার স্যালাইন সহায়তা দিয়েছেন। সেখান থেকে বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী ভিত্তিতে ২শত স্যালাইন আনা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন- এপ্রিলে ডায়েরিয়া সমস্যা দেখা দেয় এবং সে মোতাবেক আমাদের স্যালাইন মজুদ ছিল। কিন্ত আকস্মিক ভাবে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আমরা কিছুটা স্যালাইন সংকটে পড়েছিলাম তাই রোগীদের কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে চাহিদা দিয়েছি অল্প সময়ের মধ্যে সেলাইন পৌছে যাবে। । হঠাৎ ডায়েরিয়া বেড়ে যাওয়ার কারন কি- এর জবাবে তিনি বলেন- প্রচন্ড গরম, নদীতে নোনা জল ও পানির স্তর নেমে যাওয়া, অনাবৃষ্টি এছাড়া রমজান মাসে সরাদিন রোজা রেখে অতিরিক্ত তৈলক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহনের কারনে মূলত ডায়েরিয়া রোগীর সংখ্যা রেড়ে গেছে। রোগীদের সেবার বিষয় বলেন- কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেসন ও করোনা টেষ্ট চলোমান। তার উপর ডায়েরিয়া রোগী আকৎস্মিক রেকর্ডসংখক বেড়ে যাওয়ায় রোগীদের সেবা দানে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছি, তারপরও আমরা ডাবল শিপটিং ডিউটি করে চিকিৎসা সেবার কাজ অব্যহত রাখছি।
এইচআর/এমআর