কলাপাড়ায় আরপাঙ্গাশিয়া নদীতে তোলা হচ্ছে বহুতল স্থাপনা

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় আরপাঙ্গাশিয়া নদীতে তোলা হচ্ছে বহুতল স্থাপনা
বুধবার ● ১৪ এপ্রিল ২০২১


কলাপাড়ায় আরপাঙ্গাশিয়া নদীতে তোলা হচ্ছে বহুতল স্থাপনা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥


এবার করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সরকারের কঠোর বিধি নিষেধ চলাকালে আরপাঙ্গাশিয়া নদী দখল করে তোলা হচ্ছে বহুতল স্থাপনা। নদীতে কলাম করে তোলা হচ্ছে এই স্থাপনা। ইতোপূর্বে আরপাঙ্গাশিয়া নদীর নাচনাপাড়া পয়েন্টে টিয়াখালী অংশে অন্তত ২০টি পাকা-সেমিপাকা টিনশেড স্থাপনা নদী এবং নদী তীর দখল করে তোলা হয়েছে। পৌরসভার বাসস্ট্যন্ডের পেছনেও তোলা হয়েছে স্থাপনা। কোন কিছুতেই থামছেনা এসব স্থাপনা তোলার কাজ। যেন প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নদী-খাল-বিল-ডোবা দখল কলাপাড়ায় এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
কলাপাড়া সদর ভূমি অফিসের তহশিলদারদের এ ব্যাপারে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। শুধু নদী নয়। ফায়রা সার্ভিস থেকে মহাসড়কের পশ্চিম পাশের সরকারি যে পরিমান খাস জমি ছিল তা দখল করে একের পর এক বহুতল পাকা স্থাপনা তোলা হয়েছে। বরাবরই অভিযোগের আঙ্গুল তহশিদারদের দিকে। ইতোপুর্বে কলাপাড়ায় থাকা এক তহশিলদার আব্দুল জব্বার থাকাকালে এসব স্থাপনা তোলা হয়েছে। বর্তমানে তাকে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। কিন্তু নদী-খাল দখল করে স্থাপনা তোলার কাজ বন্ধ হয়নি। বর্তমানে নাচনাপাড়া চৌরাস্তা এলাকা এবং চাকামইয়া ব্রিজ এলাকায় আরপাঙ্গাশিয়া নদীটি দখল করে যেভাবে স্থাপনা তোলার কাজ চলছে তাতে অবস্থাদৃষ্টে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে। প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্ধারমানিক নদীর সঙ্গে সংযোগ থাকা আরপাঙ্গাশিয়া নদীটি পলিতে ভরাট হচ্ছে। তারউপরে চলছে দখল প্রক্রিয়া। তাতে নদীটির নব্যতা একেবারে কমে গেছে। নদীর দুই তীরের চরভূমির ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছপালা পর্যন্ত কেটে ইটভাঁটি থেকে বাড়িঘর তোলা হয়েছে। আবার নদীর তীর এখনও জোয়ারে পানির প্রবাহ রয়েছে তা আবার বহু আগে চাষযোগ্য কৃষি জমি দেখিয়ে বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। যেন নানা কায়দায় সমস্যা আর অনিয়মে আরপাঙ্গাশিয়া নদীটি এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। স্থানীয় সচেতন মানুষ এ নদীটি উদ্ধারে দখলদার উচ্ছেদের দাবি করেছেন। সদর ভূমি অফিসের তহশিলদার জানান, তারা এসব স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য তালিকা তেরি করেছেন।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪২:৪৪ ● ৫১৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ