নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

নেছারাবাদ উপজেলার সারেংকাঠি ও গুয়ারেখা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ওই ইউনিয়ন দুটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। হুমকি পাল্টা হুমকিতে যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা ঘটার আশংকায় ভীতিকর সময় কাটাচ্ছে ওই দুই ইউনিয়নের সাধারণ জনগন। ইতিমধ্যে ওই দুই ইউনিয়নে সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নেছারাবাদ থানায় মামলা ও সাধারণ ডায়রি দায়ের করা হয়েছে।
সরেজমিনে ওই ইউনিয়ন দুটিতে খোজ নিয়ে জানা যায়, সারেংকাঠি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সায়েমের নির্বাচনী গনসংযোগে গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নজরুল ইসলামের কর্মীসমর্থকরা হামলা চালায়। এতে সায়েমের এক সমর্থকের শরীরের এক তৃতীয়াংশ শরীর পুড়ে যাওয়াসহ অন্তত ১০ কর্র্মী আহত হয়। এসময় হামলাকারীরা সায়েমের নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়। পরে সায়েম এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুলের ১২ জন কর্মিকে আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কিছুদিন হাজতবাসের পর ওর থেকে ১১ জন জামিনে বেরিয়ে এসে মামলা তুলে নিতে সায়েম ও তার কর্মী সমর্থকদের জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে মর্মে অভিযোগ করে সায়েম থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন।
এদিকে উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সুব্রত কুমার ঠাকুরের পক্ষে তার ছেলে অর্নব ঠাকুর সহ কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সিকদারের কর্মী সমর্থকদের মারপিট করা সহ নির্বাচনী প্রচারনা থেকে সড়ে দাড়ানোর হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রার্থী আঃ রব সিকদারের সমর্থক নিহার রঞ্জন বেপারী ও অমিত মন্ডল নেছারাবাদ থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অত্র ইইনয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হওয়া সত্বেও চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুরের ছেলে ও তার লোকজন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ প্রতিনিয়ত আমার কর্মী সমর্থকদের নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ানোর জন্য হুমকি প্রদান করছে। ইতিমধ্যে তারা কয়েকবার তার কর্মীদের মারপিট পর্যন্ত করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার ঠাকুরের মোবাইলে ফোন দেয়া হলে প্রথমে তিনি ফোনটা কেটে দেন পরে আবার ফোন দেয়া হলে তিনি আর রিসিভ করেননি।

আরএ/এমআর