নেছারাবাদ(পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সীর (জাইকার) অর্থায়নে দেয়া এ্যম্বুলেন্সের সেবা থেকে বঞ্চিত নেছারাবাদ উপজেলা বাসি। গ্রামের মুমূর্যূ রোগীদের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্নত সেবার ব্যবস্থা করা এবং গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য কমপেক্সে পৌছে দেওয়ার জন্য (জাইকার অর্থায়নে) ত্রিশ লক্ষ টাকা ব্যায়ে উপজেলার দশ ইউনিয়নে ১০টি ব্যাটারিচালিত এ্যম্বুলেন্স এবং নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপেক্সে ১টি নৌ এ্যম্বুলেন্স দেয়া হয়েছিল এ্যম্বুলেন্স গুলো। যা গত তিন বছরে রোগিদের সেবায় ব্যাবহার করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে জাইকার দেওয়া এ্যম্বুলেন্সগুলো অযতœ আর অবহেলায় পড়ে আছে যেখানে-সেখানে। আবার কোনটির স্থান হয়েছে গোয়াল ঘরের পাশে, গাছ তলায়, কোন টি জরাজীর্ণ অবস্থায় ঘরের কোনে বা স্টোররুমে।
জাইকার অর্থায়নে দেওয়া এ্যম্বুলেন্স গুলো উদ্ভোধনের সময় উপস্থিত সাধারন মানুষের মাঝে খুশির আমেজ ছিল।
এ্যম্বুলেন্সগুলো চালানোর জন্য কোন ড্রাইভার না থাকায় ইউনিয়ন বাসি এর সুফল ভোগ করতে পারেনি একদিনের জন্য। লক্ষ‘ লক্ষ টাকা ব্যায় নির্মিত এ্যম্বুলেন্স গুলোর বর্তমান অবস্থা সরজমিনে দেখতে গেলে দেখা যায়, অযতেœ অবহেলায় পড়ে আছে এ্যম্বুলেন্স গুলো।
উপজেলার স্বরূপকাঠী সদর ইউনিয়নের এ্যম্বুলেন্সটি দেখতে পাওয়া যায় একজন চৌকিদারের বাড়ীতে গোয়াল ঘরের পাশে। কিন্তু এ্যম্বুলেন্সের ভেতর ব্যাটারি, মটর, মূমুর্ষ রোগির জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার কোন কিছুই পাওয়া যায়নি। কুড়িয়ানা ইউনিয়নের এ্যম্বুলেন্সটি চেয়ারম্যানের খাশ লোক শ্বপনের বাড়ীর আম গাছ তলায় পাওয়া যায়, এ্যম্বুলেন্সেরটির অবস্থা একই রকম ভেতর বসার সিট, ব্যাটারি, মটর, অক্সিজেন সিলিন্ডার কোন কিছুই পাওয়া যায়নি। এ্যম্বুলেন্সে এর মূল্যবান জিনিসপত্র না থাকার কারন যানতে চাইলে বলেন ব্যাটারিতে চার্জ নাই মটর নষ্ট হয়ে গেছে, আক্সিজেন সিলিন্ডার কোথায় আছে বলতে পারেনি। জলাবাড়ী ইউনিয়ণ, সমুদয়কাঠী, সোহাগদল, সারেংকাঠী, সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের এ্যম্বুলেন্স গুলোর একই অবস্থা। তবে উপজেলার বলদিয়া, গুয়ারেখা এবং দৈহারি ইউনিয়নের এ্যম্বুলেন্স তিনটি পাওয়া গেছে হল রুমের ভেতর।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডা.ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, গত ১৯১৭-১৮ অর্থ বছরে “জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো- অপারেশন এজেন্সীর (জাইকার)”সহায়তায় ১টি নৌ এ্যম্বুলেন্স দেয়া হয়েছে এবং দশ ইউনিয়নে ১০টি ব্যাটারি চালিত এ্যম্বুলেন্স দেয়া হয়েছে রোগী বহনের জন্য। কিন্তু কোন চালক বা ড্রাইভার না থাকায় এটি একদিনও ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। নৌ এ্যম্বুলেন্স যে দিন দেয়া হয়েছে সেদিন থেকে ঘাটে বাঁধা আছে ব্যাবহার করা হয়নি।
এ ব্যাপারে নেছারবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মবর্তা বলেন, ২০১৭/১৮ অর্থ বছরে জাইকার সহায়তায় নেছারাবাদ উপজেলায় দশ ইউনিয়নে ১টি ব্যাটারি চালিত এ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়েছে এবং নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপেক্সে ১টি নৌ এ্যম্বুলেন্স দেয়া হয়েছিলো। এ্যম্বুলেন্স গুলোর ড্রাইভার না থাকায় ব্যাবহার করা সম্ভব হয়নি। এগুলোর বর্তমান কি অবস্থা তাদের সাথে আলাপ করে দেখেছি, তারা বলেছেন, এ্যম্বুলেন্স গুলো ঐ অবস্থায় রাখা আছে তবে ড্রাইভার না থাকা এবং অব্যাস্থাপনার কারনে সেগুলো ব্যাবহার করা সম্ভব হয়নি।
আরএস/এমআর