দশমিনা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দশমিনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘খ’ সার্কেল কলাপাড়ার দুই এস.আই ও এক সিপাহীর বিরুদ্ধে ১লক্ষ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেছেন মেসার্স সোহেল এন্ড ব্রাদার্স এর মালিক মো. সোহেল আহম্মেদ। দশনিনার মিথাইল অ্যালকোহল (উড স্পিরিট) ব্যবসায়ী সোহেল আহম্মদ শনিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলণে ওই অভিযোগ করেছেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যের অভিযোগে বলেন, উপজেলার সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়কে মেসার্স সোহেল এন্ড ব্রাদার্স’র নামে ২০০৭ সাল থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্স নিয়ে মিথাইল অ্যালকোহল (উড স্পিরিট) ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে করোনা মাহামারি লকডাউনের কারণে ২০২০-২১ অর্থ বছরের লাইসেন্স গ্রহণের জন্য গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স নবায়নের জন্য টাকা জমার রশিদ ও লাইসেন্সের মূলকপিসহ পটুয়াখালী মাদবদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের কাছে আবেদন করে রিসিভ কপি নিয়ে আসেন। পরে মিজানুর রহমান অসৎ উদ্দেশ্যে লইসেন্স নবায়নে গড়িমশি ও টালবাহানা শুরু করে।
এদিকে, পটুয়াখালীর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘খ’ সার্কেল কলাপাড়া চলতি বছরের ৩এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় অভিযান চালায় মোঃ সোহেল আহম্মেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এ সময় লাইসেন্স নবায়ন হয়নি কারণ দেখিয়ে অভিযান পরিচালনাকারী এসআই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, এ এসআই মোঃ রুহুল আমীন ও সিপাহী আবুল হাসান ১ লক্ষ টাকা উৎকোচ দাবী করেন। উৎকোচের টাকা না দেয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলার ভয় দেখিয়ে গ্রেফতার করে দশমিনা থানার মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করেন। পরের দিন উপযুক্ত কাগজ পত্রাদি দেখিয়ে দশমিনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালত থেকে জামিনে বেড়িয়ে আসে। জামিনে বেড়িয়ে কলাপাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অফিসে কাগজপত্র আনতে গেলে পুনরায় আবার টাকা দাবি করেন মো. সোহেলের কাছে। এ ঘটনায় সংক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল আহম্মেদ অবৈধভাবে অভিযান পরিচালনা, দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় গ্রেফতার করে সম্মানহানির ঘটনায় ওই কর্তকর্তাদের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
অভিযান পরিচালনাকারী এসআই ও মামলার বাদী মো. মোস্তাফিজুর রহমান উৎকোচ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে এ সাগরকন্যাকে জানান, মো. সোহেল আহম্মেদ’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন লাইসেন্স পাওয়া যায়নি বা দেখাতে পারেনি কাগজপত্র ছাড়া আদালত কি ভাবে জমিন দিয়েছে আমি জানিনা।
অভিযোগের বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান স্থানীয় জানান, মেসার্স সোহেল এন্ড ব্রাদার্স এর লাইসেন্স নবায়ন হয়নি। আদালত থেকে বেড়িয়ে টাকা জমা দেয়া ও নবায়নের আবেদনের বিষয়টি আমাকে ফোনে জানিয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় আমি ছিলাম না টাকা পয়সা দাবীর বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
এসবি/এমআর