আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পাগল মোঃ আনোয়ার হোসাইনকে ফাঁসিয়ে মুল অপরাধী ইব্রাহিম মাতুব্বর ও নান্নু চৌকিদারকে রক্ষা করেছেন পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মামলার প্রধান আসামী মানষিক ভারসাম্যহীন মোঃ আনোয়ার হোসাইনের স্ত্রী মোসাঃ সালেহা বেগম। দ্রুত চার্জসিট বাতিল করে মুল আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান আসামীকে অব্যহতির দাবী জানিয়েছেন তিনি। মামলার বাদী মোঃ জহিরুল ইসলাম ফকির অভিযোগ করেন, মুল আসামী ইব্রাহিম মাতুব্বর ও নান্নু চৌকিদারকে মামলা থেকে রক্ষা করতেই পুলিশ একজন পাগলের বিরুদ্ধে চার্জসিট দিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে সালেহা বেগম বলেন, উপজেলার টেপুরা গ্রামের জহিরুল ইসলাম ফকির ও ইব্রাহিম মাতুব্বরের মধ্যে এক একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় গত বছর ১৯ আগষ্ট ইব্রাহিম মাতুব্বর মানষিক ভারসাম্যহীন আমার স্বামী আনোয়ার হোসাইনকে কু-পরামর্শ দিয়ে তার প্রতিপক্ষ জহিরুল ইসলামকে ঘায়েল করতে তার পিছনে লেলিয়ে দেয়। পাগল আনোয়ার ষড়যন্ত্রকারী ইব্রাহিম ও নান্নু চৌকিদারের ষড়যন্ত্র না বুঝে জহিরুল ইসলাম, নিরুজা বেগম, আফরোজা বেগম,শাহনাজ, রাসেলকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মোঃ আনোয়ার হোসাইন, তার স্ত্রী মোসাঃ সালেহা বেগম, পরিকল্পনাকারী মোঃ ইব্রাহিম মাতুব্বর ও নান্নু চৌকিদারকে আসামী করে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মানষিক ভারসাম্যহীন আনোয়ার হোসাইন এবং তার স্ত্রী সালেহা বেগম জেল হাজতে যান। দীর্ঘ দুই মাস ৬ দিন জেল হাজতে থাকার পর আমি জামিনে আসি। কিন্তু গত সাড়ে সাত মাস পেরিয়ে গেলেও আমার স্বামীর জামিন হয়নি। তিনি আরো অভিযোগ করেন পুলিশ গত বছর ৩০ নভেম্বর মামলার মুল পরিকল্পনাকারী ইব্রাহিম মাতুব্বর ও চুন্নু চৌকিদারকে বাদ দিয়ে আমার স্বামী পাগল আনোয়ার এবং আমাকে ফাসিয়ে চার্জসিট দিয়েছেন। তার স্বামীর জামিন, চার্জসিট থেকে অব্যহতি এবং মুল আসামী ইব্রাহিম ও নান্নু চৌকিদারকে চার্জসিটে অন্তর্ভুক্তির দাবী এনে বৃহস্পতিবার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এ মামলার আসামী পাগল মোঃ আনোয়ার হোসাইনের স্ত্রী মোসাঃ সালেহা বেগম।
এ মামলার বাদী মোঃ জহিরুল ইসলাম ফকির বলেন, পাগল আনোয়ার হোসাইনের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। মামলার আসামী ইব্রাহিম মাতুব্বরের সাথে আমার জমি জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ইব্রাহিম ও নান্নু চৌকিদারের পরিকল্পনায়ই ওই পাগলে আমার পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মুল আসামী ইব্রাহিম মাতুব্বর ও নান্নু চৌকিদারকে বাদ দিয়ে পাগলকে ফাসিয়ে চার্জসিট দিয়েছেন। আমি আদালতে এ চার্জসিটের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, যাচাই বাছাই শেষে মুল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জসিট দেয়া হয়েছে।
এমএইচকে/এমআর