আমতলীতে করোনায় দুর্ভোগে কর্মহীন শ্রমজীবিরা

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে করোনায় দুর্ভোগে কর্মহীন শ্রমজীবিরা
বুধবার ● ৭ এপ্রিল ২০২১


আমতলীতে করোনায় দুর্ভোগে কর্মহীন শ্রমজীবিরা

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আমতলী উপজেলায় ২৫.০৭% দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসরত ৪৫ হাজার শ্রমজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। এতে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দ্রুত সরকারীভাবে এদের সাহায্যের দাবী জানিয়েছেন তারা।
জানাগেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সরকার সোমবার থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষনা করে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার ঘোষিত লকডাউনের বুধবার তৃতীয় দিন চলছে। সরকারে নির্দেশিত লকডাউন মানতে গিয়ে উপজেলার ২৫.০৭ % দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসরত হতদরিদ্র, দরিদ্র ,রিক্স্রাচালক, ভ্যানচালক, মোটর সাইকেল চালক, দিনমজুরসহ শ্রমজীবি ৪৫ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছেন। কর্মহীন হয়ে পরায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
আমতলী উপজেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো অফিস সুত্রে জানাগেছে, আমতলী উপজেলায় ২৫.০৭ % মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। ওই মানুষগুলো সকলেই হতদরিদ্র ও দরিদ্র শ্রমজীবি মানুষ। তারা দিনে আনে দিনে খায়। কাজ না জুটলে তাদের খাবার জুটে না। লকডাউনের কারনে এ সকল মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। দ্রুত এ সকল শ্রমজীবি  অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়ার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
শ্রমজীবি বেল্লাল হোসেন ও আবু বকর বলেন, গত তিন দিন ধইয়্যা কোন কাম পাই নাই। পোলাপান লইয়্যা খুব কষ্টে হরি। ঘরে য্যা ছিল হ্যা খাওয়া শ্যাষ। এ্যাহন গুড়াগাড়া লইয়্যা কি খামু হেইয়্যা কইতে পারি না।
চাওড়া কাউনিয়া গ্রামের শ্রমজীবি আল-আমিন ও আলমগীর বলেন, কোন কাজ নেই। লকডাউনে বাড়ীতে বসে অলস সময় কাটাচ্ছি। কিন্তু পেটতো অলস না। সেতো যথা সময়ে খাবার চায়। কি হরবো ভেবে পাচ্ছি না।
আমতলী বে-সরকারী সংস্থা নজরুল স্মৃতি সংসদের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মোঃ শাহাবুদ্দিন পান্না বলেন, লকডাউনের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলোকে সরকারী, বে-সরকারী ও বিত্তবানদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউনে কর্মহীন মানুষের কাজের জন্য নির্ধারিত সময় দেয়া প্রয়োজন। যাতে তারা উপার্জন করে পরিবার পরিজনের ভরণ পোষণ চালাতে পারে। নইলে কর্মহীন মানুষগুলো অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করতে হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, উপজেলার শ্রমজীবি ও অসহায় মানুষকে সহায়তায় বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। সহায়তায় বরাদ্দ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:০৫:০৭ ● ৩৫০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ