নেছারাবাদে জেলেদের ৩৬ বস্তা চাল গায়েব!

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নেছারাবাদে জেলেদের ৩৬ বস্তা চাল গায়েব!
মঙ্গলবার ● ৩০ মার্চ ২০২১


নেছারাবাদে জেলেদের ৩৬ বস্তা চাল গায়েব!

নেছারাবাদ(পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

নেছারাবাদের জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন থেকে জেলেদের জন্য বিতরণ করা চাল থেকে ৩৬বস্তা (প্রায় ১১শ‘ কেজি) চাল  গায়েব হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সকালে চাল বিতরণ করতে গিয়ে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা ফিরোজ আহমদ ও ট্যাগ অফিসার মো. নুরুন্নবী সাড়ে ৩৬ বস্তা চাল কম পান। এ নিয়ে জেলেদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান, ট্যাগ অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও গ্রাম পুলিশের সাথে কথা বলে ভিন্নি ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। সরেজমিনে জানাগেছে জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিস বড়াল ২৪মার্চ দুস্থদের জন্য ভিজিডির ৫০৯বস্তা ও মৎস্য জীবিদের জন্য ৯১৬বস্তা চাল এলএসডি গোডাউন থেকে উত্তোলন করে স্থানীয় ইদিলকাঠি বাজারের পরিষদের গোডাউনে জমা রাখেন। চাল গোডাউনে ওঠানোর পরে চাবি ইউপি সদস্য মত্যুঞ্জয় এর কাছে রাখা হয় বলে চেয়ারম্যান দাবী করেন। মঙ্গলবার জেলেদের চাল বিতরণ করার খবর পেয়ে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা ফিরোজ আহমদ ও  উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) মো. নুরুন্নবী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় চাল কম থাকার বিষয়টি তাদের গোচরে এলে তারা স্টক গুণে চালের হিসাব দিতে বলেন ইউপি সচিব মিজানুর রহমানকে। এ সময় চালের বস্তা গণনা করে ৩৬ বস্তায় প্রায় এক হাজার একশত কেজি চাল কম রয়েছে। বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি সকলের জবানবন্দি নেওয়ার জন্য বলেন।
এ বিষয়ে জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিস বড়াল বলেন,  প্রথম দিনে আমি ৫টি ওয়ার্ডের ভিজিডির চাল বিতরণ করেছি। সেখানে তালিকার বাইরে শেফালীও রোজিনার মাধ্যমে ৯বস্তা চাল নিজে থেকে দিয়েছি। যেহেতু আমি নির্বাচন করছি বলে ইউএনও মহোদয় নিষেধ করায় আমি চলে যাই। পরের দিন ছিলিপ পাঠিয়ে সচিবকে বাদল, নুরুজ্জামান ও রুবেলকে মোট ৩ বস্তা চাল দিতে বলেছি। এর বাইরে আমি কিছুই জানি না। অপরদিকে সচিব মিজানুর রহমান বলেন, ভিজিডির চাল তালিকা অনুযায়ী তিনি বন্টন করেছেন। কোন ছিলিপে চাল বন্টন করেননি।
ট্যাগ অফিসার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুন্নবী বলেন প্রথম দিনে চেয়ারম্যান সাহেব লোকজন নিয়ে ভিজিডির চাল বিতরণ করেছেন। তা আমাকে জানানো হয়নি। এ বিষয় ইউএনও মো, মোশারেফ হোসেন বলেন, জেলেদের জন্য উত্তোলন করা চাল কম থাকার বিষয়টি জানার পরে তিনি মৎস্য বিভাগের কর্মচারী ফিরোজকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বস্তা গননার জন্য নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে চাল কম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আপাতত বিতরণ কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। তিনি বলেন পরবর্তীতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:০৮:১২ ● ১৬৮২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ