আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
নৌকার কর্মী হওয়ায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা আব্দুর রহমান ও রাবেয়া বেগম নামে দু’জনকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত দু’জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী এলাকায়।
জানাগেছে, উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী সোহেলী পারভীন মালার কর্মী আব্দুর রহমান সোমবার সকালে ঘোপখালী বাজারে নির্বাচনী অফিস খুলতেছিল। এমন মুহুর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের কর্মী মজনু, জাফর তালুকদার, মিল্টন, শাহ জাহান তালুকদার ও দুলালসহ ৬-৭ জন এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এমন অভিযোগ আহত আব্দুর রহমানের। রহমানকে কুপিয়ে ওই কর্মীরা একই গ্রামের আবুল কালামের বাড়ী ঘেরাউ করে। কালাম নিজেকে রক্ষায় ঘরে উঠে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে তারা দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে কালামের স্ত্রী রাবেয়া তাদের বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা রাবেয়াকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান ওসি (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন,স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের কর্মী ও সমর্থকরা আওয়ামীলীগ প্রার্থী সোহেলী পারভীন মালার নারীসহ দুই কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
আহত নারী রাবেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী আবুল কালাম আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষ করায় তাকে মারধর করতে সন্ত্রাসী মজনু, জাফর তালুকদার, মিল্টন, শাহ জাহান তালুকদার ও দুলাল বাড়ীতে আসে। তাদের ভয়ে আমার স্বামী ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করতে চেষ্টা করে। এতে আমি বাঁধা দিলে আমাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
আওয়ামীলীগ প্রার্থী সোহেলী পারভীন মালা বলেন, পরিকল্পিতভাবে স্বতন্ত্র প্রাথী আবুল কালাম আজাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর মজনু, জাফর তালুকদার, মিল্টন, শাহ জাহান তালুকদার ও দুলাল আমার দুই কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে যখম করেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মজনু ও আব্দুর রহমানের সাথে পূর্বে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে দুজনের মধ্যেই মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’জনই আহত হয়েছে। মজনু, জাফর তালুকদার, মিল্টন, শাহ জাহান ও দুলাল তার কর্মী কিনা এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।
আমতলী থানা ওসি (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর