কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতিপাড়া মৌজায় নিজের ও ছেলের নামে ক্রয়কৃত রেকর্ডিয় ভোগ দখলিয় জমির তারকাটা ভেঙ্গে প্রতিপক্ষ আপন বোনের ছেলে ইলিয়াস হোসেন রনি বিরুদ্ধে জোড় পূর্বক জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী আঞ্জুমান আরা বেগম।
শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে তিনি কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার স্বামী মো. ফারুকুল ইসলাম, দুই ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম ও রাইসুল ইসলাম। আঞ্জুমান আরা বেগম লিখিত বক্তব্যে জানান, আমি আমার দুই ছেলে নামে ১৯৯২ সালে ও তারপর থেকে বিভিন্ন সময় বানাতিপাড়া মৌজায় ৫৭ দশমিক ৫০ শতক জমি ক্রয় করে ২০/২৫ বছর ধরে বাড়ি, পুকুর বাগান করে তারকাটার বেড়া দিয়ে ভোগ দখল করে আসছি। বর্তমানে বি এস জরীপ করে আমি ও আমার ছেলেদের নামে রের্কড হয়। আমার বড় ছেলে আমিনুল ইসলাম রাকিব ঢাকায় আউট সোর্সিংএর ব্যবসা করে ও ছোট ছেলে রাইসুল ইসলাম বুয়েটে লেখাপড়া করে। অপর দিকে নিজে ক্যান্সারে আক্রান্ত। ক্যান্সারের চিকিৎসায় ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। এ সুযোগে আপন বোনের ছেলে ইলিয়াস হোসেন রনি তার ভোগদখলীয় বাড়ির সীমানার বেড়া ভেঙ্গে মো. বেল্লার হোসেন হাওলারকে একটি ঘর তুলে দেয়। পরবর্তীতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ইলিয়াস হোসেন রনি ২০/২৫ সন্ত্রাসী নিয়ে আমার বাড়ির উত্তর পাশের তারকাটার বেড়া ভেঙ্গে পুনরায় ঘর তোল চেষ্টা করে। আমিসহ আমার ভাই নকিব, স¦ামী মো. ফারুকুল ইসলাম, বাধা নিষেধ করলে প্রতিপক্ষ রনি আমাদের খুন জখমের ভয়ভীতি দেখায়। এব্যাপরে কলাপাড়া থানায় অভিযোগ করি। উক্ত অভিযোগের ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে ফয়সালার জন্য কৃষি অফিসের কর্মকর্তা মজিবুর রহমান ও স্থানীয় আবদুল মৃধার কাছে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ রনি তাদেরকে অমান্য করে তার তোলা ঘর দুয়ার ভেঙ্গে ১১ মার্চ কলাপাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমার ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম রাকিব, রাইসুল ইসলাম, ভাই এমবি কলেজের অধ্যাপক মো. নকিব উদ্দিন ও মো. সজিবকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলাটি জেলা প্রধান পিবিআই এর কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমার দুই ছেলে ঢাকায় অবস্থান করলেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন। করা হচ্ছে হয়রানি।
এ ব্যাপারে ইলিয়াস হোসেন রনি গণমাধ্যমকে জানান, আমার কারও জমিতে ঘর তুলিনি। আমি আমাদের নিজেদের জায়গায় ঘর তুলেছি। আর প্রতিপক্ষ আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে। আমি চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা হামলা চালিয়ে আমার ঘর ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করে। এসময় আমার পকেটে ৩৩ হাজার টাকা ছিল তা ও নিয়ে যায়। আমি এর বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
এমইউএম/এমআর
