আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মৃধাকে লাঞ্চিতের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পদক মোঃ ফাহাদকে (৪০) মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত যুবলীগ নেতাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায়।
জানাগেছে, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফাহাদ ও আমতলী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে সোমবার বিকেলে থানার সামনে চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিল। ওই সময় উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ নুরুল ইসলাম মৃধা ওই চায়ের দোকানে প্রবেশ কালে পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তার ধাক্কা লাগে। এতে আওয়ামীলীগ নেতা পুলিশ কর্মকতাকে গালাগাল করে। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা ফাহাদ পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরেন। এক পর্যায় মুক্তিযোদ্ধা এবং যুবলীগ নেতার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে উভয়ের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি মিমাংশা করেন দেন। কিন্তু এতে শান্ত হয়নি আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল ইসলাম। ওইদিন সন্ধ্যায় ফাহাদ পৌর শহরের আকন বস্ত্রালয়ের বিপরীত দিকে দাড়িয়ে ছিল। এমন মুহুর্তে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে আবুল কালাম আজাদ, কিশোর গ্যাং লিডার ইসফাক আহম্মেদ ত্বোহা, সবুজ ম্যালকার, জসিম মুন্সি, ফিরোজ মিয়া ও হাসান মীরসহ ৮-১০ জনে ফাহাদকে পিটিয়ে জখম করে। এতে তার মাথা, হাত, কপাল ও চোখে গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। বর্তমানে যুবলীগ নেতা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, থানার সামনে চায়ের দোকানে বসে চা পান করতেছিলাম। এমন মুহুর্তে নুরুল ইসলাম মৃধা ওই চায়ের দোকানে প্রবেশ করতে গিয়ে আমার সাথে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে তিনি আমাকে গালাগাল করেন। এক পর্যায় ফাহাদ এর প্রতিবাদ করলে তিনি তার উপরেও ক্ষিপ্ত হন এবং দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পদাক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান এসে বিষয়টি মিমাংশা করে দেন।
আহত উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ মোঃ ফাহাদ বলেন, আমি আকন বস্ত্রালয়ের সামনে দাড়িয়ে ছিলাম এমন মুহুর্তে নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের ভাগিনা আবুল কালাম আজাদ, কিশোর গ্যাং লিডার ইসফাক আহম্মেদ ত্বোহা, সবুজ ম্যালকার, জসিম মুন্সি, ফিরোজ মিয়া ও হাসান মীরসহ ১২-১৫ জনে আমাকে পিটিয়ে জখম করেছে। স্থানীয় লোকজন না হলে আমাকে মেরেই ফেলতো। আমি এ ঘটনায় মামলা করবো।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ নুরুল ইসলাম বলেন, থানার সামনে একটি চায়ের দোকানে আমি চা পান করতে যাই। এ সময় এক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। যুবলীগ নেতা ফাহাদ ওই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে আমার সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায় ফাহাদ আমার দিকে একটি চেয়ার ছুড়ে মারে। আমিও ফাহাদকে লক্ষ করে চেয়ার ছুড়ে মারি। এ ঘটনার জের ধরে আকন বস্ত্রালয়ের সামনে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, ওই স্থানে আমি উপস্থিত ছিলাম।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ফাহাদ নামের এক যুবলীগ নেতাকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর