গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর গলাচিপায় নাজমা আক্তার বিথী (রুরাল ফ্যাসিলিটেটর, পিএইচডি)’ এর সঞ্চালনায় ১ নং আমখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব, মো: কামরুজ্জামান মনির এর সভাপতিত্বে ব্রিটিশ সরকারের এফসিডিও এর আর্থিক সহায়তায় এবং কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের নেতৃত্ত্বে এবং পার্টনার্স ইন হেলথ্ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত “সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা” শীর্ষক কনসোর্টিয়াম প্রকল্পটির সেনসিটাইজেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পিএইচডি- ইএইচডি প্রকল্পের মো: রউফুল আলম মিঠু, হেলথ কো- অর্ডিনেটর। ইএইচডি প্রকল্পের নাজমা আক্তার বিথী এবং মো: রউফুল আলম মিঠু’র যৌথ পরিচালনায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রম আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা উপকূলবর্তী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার সংকট মোকাবেলায় বিভিন্ন করণীয় ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন যাতে এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠী নির্বিঘেœ স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বরিশাল বিভাগের (ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা জেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠির মা ও শিশুর অসুস্থ্যতা ও মৃত্যুহার কমানো, সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠির সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা গ্রহনের মাত্রা বাড়ানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টির টেকসই, উন্নয়নে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং গলাচিপা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রকল্পের কর্মকান্ড সম্প্রসারিত করেছে। বিশেষ করে কমিউনিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মী, বেসরকারী ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মী ও গ্রাম ডাক্তারদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে প্রশিক্ষন, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে প্রশিক্ষন আয়েজন করেছে।
করোনা মহামারীর সময় সরকারের সাথে কাজ করেছে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সরিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ”আমি আশা করি প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসুবিধা প্রাপ্তির হার বাড়াতে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমুহ দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে তাদের কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করবে। উপকূলবর্তী সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে বলে আশা করি। আমি এই প্রকল্পের সার্বিক সফলতা কামনা করি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে আমার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহায়তা অব্যহত থাকবে।”
এসডি/এমআর