গোপালগঞ্জে প্রবাসীর জমি ওপর রাস্তা তৈরীর অভিযোগ
প্রথম পাতা »
ঢাকা »
গোপালগঞ্জে প্রবাসীর জমি ওপর রাস্তা তৈরীর অভিযোগ
বৃহস্পতিবার ● ১৮ মার্চ ২০২১
গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আমেরিকা প্রবাসীর জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরীর অভিযোগ ওঠেছে আওয়ামীলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ওই রাস্তার নামকরণ করা হয়ছে বলে অভিযোগে জানাযায়।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ভুক্তভোগী আমেরিকা প্রবাসীর ছোট ভাই ও সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল কবির কদর জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জিকরুল ইসলাম ফকিরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিগত ১৯৯৫ সালে আমার বড় ভাই আমেরিকা প্রবাসী বরকতউল্লাহ ১১৬ নং গোবরা মৌজার বিআরএস ২১১০ খতিয়ানে ৬৬৩৭ দাগে ০.৭১ একর জমির দলিলমূলে মালিক হন। গত ১৩ মার্চ গোবরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জিকরুল ইসলাম ফকির লোকজন নিয়ে আমার ভাইয়ের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরীর অপচেষ্টা চালায়। মুক্তিযোদ্ধা সড়ক নামে ওই রাস্তার নাম দিয়ে সেখানে তারা একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।
বিষয়টি জানতে পেরে আমার ভাই বরকতউল্লাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা তৈরীতে বাধা দিলে জিকরুল ফকির ও তার লোকজন তাকে মারপিট করেন। এতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায় এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশংকা দেখা দেয়।এঘটনায় আমার আরেক বড় ভাই হুমায়ূন কবীর ওইদিন গোপালগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আবেদন করেন।গত ১৪ মার্চ আমার ভাইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইকবাল হোসেন ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারী করে।
তিনি তার অভিযোগে আরও বলেন, আদালতের ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও জিকরুল ফকির ও তার লোকজন রাতের আধারে ওই জমির উপর মাটি ফেলা অব্যাহত রাখে।বৃহস্পতিবার সকালে জিকরুল ফকিরের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসশ্র নিয়ে আমার ভাইয়ের জমির উপর মহড়া দেয়। খবর পেয়ে গোপালগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ মনোয়ার হোসেন ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম ঘটনা স্থলে যান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফয়সাল কবির বলেন, আমি গোবরা ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলাম।আমিও চাই ইউনিয়নে জনগণের চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরী করা হোক।কিন্তু গোবরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কোন উদ্দেশ্যে গায়ের জোরে আমার ভাইয়ের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরী করতে চান।ওইখানে সভাপতির আত্মীয় স্বজনেরও জমি রয়েছে।স্থানীয় লোকজন বসে সমঝোতার ভিত্তিতে রাস্তা তৈরী করলে কোন সমস্যা হয়ার কথা ছিল না।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ সভাপতি জিকরুল ইসলাম ফকির তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন ওই জমিতে মহড়া দিচ্ছিল। বিষয়টি টের পেয়ে গ্রামবাসী তাদের প্রতিহত করে।
গোপালগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভুমি)মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে জেনেছি জমির ওপর আদালতের অস্থায়ী নিষেধ্যাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া সেখানে উত্তেজনকর পরিবেশ বিরাজ করায় জমি পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি।পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ পেলে তদন্ত করে এ সমস্যার নিরসন করা সম্ভব হবে।
এইচবি/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫২:৩১ ●
৪৭১ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)