গণতন্ত্রের নামে সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে: মঈন খান

প্রথম পাতা » রাজনীতি » গণতন্ত্রের নামে সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে: মঈন খান
শুক্রবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


গণতন্ত্রের নামে সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে: মঈন খান

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান অভিযোগ করে বলেছেন, গণতন্ত্রের নামে সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে। যেকোনো স্বৈরাচারী সরকারের থেকেও গণতন্ত্রের ভানধারী স্বৈরাচারী সরকার বেশি ক্ষতিকর। বর্তমান সরকার কেবল মুখে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা গণতন্ত্রের ভানধরা স্বৈরাচার, তারা মুখে গণতন্ত্রের লেবাস পরে, আচরণ করে স্বৈরাচারী। এ বিষয়ে দেশের মানুষকে সতর্ক হতে হবে।
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহিলা দল আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে মঈন খান এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। তারা অলিখিত বাকশাল চিরস্থায়ী করতে চায়। আগামি দিনে আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে, বাংলাদেশের মানুষের কাছে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবো। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যার জন্ম হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। ১৯৭১ সালে লাখো মানুষ স্বাধীনতার জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন। আজকে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর দেখছি সরকার আবারও গণতন্ত্রকে নির্বাসনে দিয়েছে। এ দেশের কোটি কোটি মানুষের প্রশ্ন, কেন আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলাম।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ পরিচালনা করছেন, তাঁরা নিজেদের চেতনার দাবিদার বলেন। তাঁরা কীভাবে নিজেদের এই দাবিদার মনে করেন। মানুষের ভোটাধিকার বিসর্জন দিয়ে, সন্ত্রাসের নির্বাচন দিয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে। সন্ত্রাসের নির্বাচনের মাধ্যমে প্রহসনের সংসদ গঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে, তাই এ সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত যে যৌক্তিক ছিল, তা এবারের নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৬:২৪ ● ৪৪৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ