কলাপাড়ায় পারিবারিক বর্জ্যে একাকার তিনমুখি খাল
প্রথম পাতা »
পটুয়াখালী »
কলাপাড়ায় পারিবারিক বর্জ্যে একাকার তিনমুখি খাল
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
কলাপাড়া পৌরসভার মাঝখান দিয়ে তিনমুখি প্রবাহমান খালটিতে ভাটার সময় এখন আর পানির প্রবাহ থাকছে না। খালে ফেলা পারিবারিক বর্জ্য পচেগলে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পৌরনাগরিকদের স্বেচ্ছাচারি মানসিকতার বলি হতে চলছে খালটিতে বর্জ্য ফেলে দূষণ করায়। পাশাপাশি ভরাট দখল চলছে ফ্রি-স্টাইলে। পারিবারিক সকল বর্জ্য এ খালটিতে ফেলে নব্যতা নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। যেটুকু পানি জোয়ারে বহমান থাকছে তাও এখন বর্জ্যে একাকার হয়ে থাকছে।
পৌর শহরের তিনমুখি খালের সংযোগ চিঙ্গরিয়ার পৌনে এক কিলোমিটার দীর্ঘ খালটির চিঙ্গরিয়া অংশে এখনও ৪/৫ ফুট পানি রয়েছে। অথচ ১৯৮৬-৮৭ সালে এটিকে চাষযোগ্য কৃষিজমি দেখিয়ে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। তাও এক ব্যবসায়ীকে কৃষক দেখিয়ে বন্দোবস্ত দেয়া হয়। ওই ব্যক্তি নিজস্ব নামে খতিয়ান খুলে একাধিক বাঁধ দিয়ে পকেট করে আবার বিক্রি করে দিয়েছে। এটি বাতিলের দাবিতে বহুদফা উপজেলা খাস ভূমি ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের কাছে গিয়েছে। সবশেষ বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু উদ্ধার হয়নি চিঙ্গরিয়ার ওই খালটি। খালটিকে পৌরসভার ইতোপূর্বেকার এক মেয়র বিএনপির সময় পরিকল্পিতভাবে খালের চেয়ে উচুতে একটি চিকন কালভার্ট করে দখলদারিত্ব আরও পাকাপোক্ত করে দেয়। প্রায় বছর আগে খালের কালভার্টের মুখের একটি অবৈধ স্থাপনা অপসারনের উদ্যোগ নিয়েও রহস্যজনক কারণে আবার থমকে গেছে। বর্তমানে তিনদিকে বহমান খালটির দুই পাড়ের হাজারো বাসীন্দা এবং চিঙ্গরিয়ার ওই খালের দুই পাড়ের আরও শত শত বাসীন্দা চরম বিপাকে পড়েছেন। পচা,গলা বর্জ্যরে গন্ধে বসবাস করা যায়না। মশার উৎপাদন কারখানা হয়েছে এখন দূষণের এই খালটি। খালটির অফিসমহল্লা অংশে দুই তৃতীয়াংশ স্থাপনার নিচে চলে গেছে। শহরের সচেতনমহল বার বার দাবি করে আসছে খালটির সবক’টি দিকের সীমানা চিহ্নিত করে পিলার দেয়া হোক। এখন খালটিতে সকল ধরনের বর্জ্য ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। আর পানিতেও পচন ধরেছে।
কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জানান, ইতোপূর্বে এক দফা দখলদার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। পুনরায় খাল উদ্ধারের জন্য গত চার বছর ধরে জেলা প্রশাসনকে বলা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও কয়েকদফা বলা হয়েছে। খালের সীমানা নির্ধারন করে না দেয়ায় কোন ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছেনা। এ কারণে সকল ধরনের পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে খালের বর্জ্য ফেলা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানালেন। তিনিও সকলের সহায়তা চাইলেন খাল উদ্ধারে।
এমইউএম/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২০:১১:৪৯ ●
২৬৭ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)