কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের লালুয়া মৌজায় পৈত্রিক ক্রয়কৃত জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তোভোগী আ: হালিম সন্যামত।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। লালুয়া মৌজায় কলাপাড়া পৌরসভার বাসিন্দা লাল মোহাম্মাদ সন্যামতের নিজ নামে দলিল মূলে ক্রয়কৃত সম্পত্তি রয়েছে। সেই সম্পত্তিতে সাবেক সংসদ সদস্য মৃত আনোয়ার উল ইসলামের ছেলে প্রতিপক্ষ দুই সহোদর আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটন ও মেজবাহ উদ্দিন তপনসহ ৫/৬ জন সন্ত্রাসী নিয়ে বেকু দিয়ে জোর জবরদস্তি করে মাটি কেটে ঘের করার চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দিতে গেলে জমির মালিক লাল মোহাম্মাদ সন্যাতনের ছেলে আ: হালিমকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধরক মারধর করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তোভোগী আ: হালিম লিখিত বক্তব্যে বলেন, কলাপাড়া উপজেলাধীন লালুয়া মৌজায় তার পিতা লাল মোহাম্মাদ সন্যামত ১৯৮৯ সালে দুটি দলিল মূলে মোট ১.৬৫ জমি ফুল গাজী ও আর্শ্বেদ গাজীর নিকট থেকে ক্রয় করেন। সরকারের সমস্ত খাজনাদি পরিশোধক্রমে নির্দিষ্ট সীমানায় শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘ ৩৩ বৎসর যাবত ভোগদখল করে আসছেন। দীর্ঘ ৯ বছর পর প্রতিপক্ষদ্বয় গোপনে ১৯৯৮ সালে ওভার সেল দলিলের মাধ্যমে উক্ত জমির বি.এস রেকর্ড করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দখল নেয়ার চেষ্টা চালায়। অথচ বি.এস রেকর্ডের ৩০ ধারার মাঠ জড়িপে সাবেক এস.এ দাগ ৩৩০ যা বি.এস দাগ ৩৫৪৩ এর সম্পূর্ন জমি আমাদের অনুকুলে থাকলেও বি.এস রেকর্ডের ৩১ ধারার ফাইনাল পর্চা প্রতিপক্ষের নামে কিভাবে আসলো তা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি নজরে আসার পরে বি.এস রেকর্ড সংশোধন করার জন্য একটি মামলা চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারী প্রতিপক্ষদ্বয় ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে আমার বাবার ক্রয়কৃত উক্ত সম্পত্তি বেকু দিয়ে মাটি কাটতে গেলে আমি বাধা দিলে আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধরক মারধর করে। আমার চিৎকার চেচামেচি শুনে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করেন। এবিষয় নিয়ে আমার বাবা লাল মোহাম্মাদ সন্যামত বাদী হয়ে কলাপাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ও আমি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করি। পরে কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থানে গিয়ে উক্ত জমির মাটি কাটতে নিষেধ করে আসলেও তারা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের কাজ অব্যাহত রাখেন। মামলা তুলে নেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনে চাপপ্রয়োগ করছেন প্রতিপক্ষদ্বয়। এছাড়াও উক্ত জমি চাষাবাদ করতে গেলে প্রাণ নাশের হুমকীসহ বিভন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখান বলেও তিনি জানান। উল্লেখিত বিষয়ে ভুক্তভোগী আ: হালিম ও তার পরিবার যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
এসকেআর/এমআর