আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পাওনা টাকা চাওয়ায় তিন জনকে মঙ্গু শেখ ও তার লোকজন পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত আতাহার ফকির ও মোতাহার ফকির দুই ভাইকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া বাজারে। এ ঘটনায় মোতাহার ফকির মঙ্গু শেখের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বুধবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তালতলী থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানাগেছে, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামের মোতাহার ফকির তার ভাই আতাহার ও মঙ্গু শেখ গত পাঁচ বছর ধরে তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়ীয়া বাজারে ভাঙ্গারী মালের ব্যবসা করে আসছে। ব্যবসার সুবাদে মঙ্গু শেখের ফেরিওয়ালা টুটুল মিয়া গত বছর নভেম্বর মাসে মোতাহার ফকিরের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা ধার নেয়। ওই টাকা তিনি এখন পর্যন্ত পরিশোধ করেনি। মোহাতার ফকির ওই টাকা মঙ্গলবার সকালে টুটুলের কাছে চাইতে যায়। এ নিয়ে টুটুল ও তার মালিক মঙ্গু শেখের সাথে মোতাহারের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংশা করে দেন। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট হয়নি মঙ্গু শেখ ও তার সহযোগী টুটুল। এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন রাত নয়টার দিকে মঙ্গু শেখ ও তার সহযোগী টুটুল, সাইদুল, সফিক, সফরুল ও অহিদ মিলে আতাহার ফকিরকে লোহার পাইপ দিয়ে বেধরক মারধর শুরু করে। আতাহারকে রক্ষায় তার ভাই মোতাহার ও স্থানীয় বেলাল নামের একজন এগিয়ে এলে তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করে। আহত দুই ভাই আতাহার ফকির, মোতাহার ফকিরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। অপর আহত বেলালকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আহত আতাহার অভিযোগ করেন মারধর করে তার সাথে থাকা দোকানের নগদ ৬৫ হাজার টাকা মঙ্গু শেখ ও তার লোকজন নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে মোতাহার ফকির তালতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বুধবার পুলিশ ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মোতাহার ফকির অভিযোগ করে বলেন, পাওনা টাকা চাওয়ায় মঙ্গু শেখ ও তার সহযোগী টুটুল, সাইদুল, সফিক, সফরুল ও অহিদ তাদের দুই দফায় মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে মঙ্গু শেখ মারধর ও টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, মোতাহার ফকির ও তার ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আহত আতাহার ফকিরের মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এমএইচকে/এমআর