দশমিনা(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দশমিনায় নিবন্ধনের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ টিকা নিতে দিনে দিনে আগ্রহ বেড়েই চলেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কেন্দ্রে ভিড় করে মহামারি করোনা ভাইরাসের টিকা নিচ্ছেন মানুষ। শুক্রবার বিকাল ৩টা প্রযন্ত ১হাজার ১শ’ এক জন পুরুষ ও ৬শ’ ৩৬জন মহিলা টিকা নিয়েছেন।
চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে দেশব্যাপী করোনার টিকা দেওয়া কার্যক্রম শুর হয়েছে। অনেক প্রবীণ স্বজনদের সঙ্গে এসে টিকা নিয়ে বলেছেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে এখন নিরাপদ বোধ করছেন তারা। দ্বিতীয় ধাপের টিকা নির্ধারিত সময়ে মহামারি করেনা ভাইসারে টিকা নিতে উপজেলা হাসপাতালে আসতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা প্রতিরোধ টিকা নিলেন উপজেলা যুবলীগের অর্ধশতাধিক নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রথম ধাপে এ উপজেলায় ৩হাজার ৮শ’ ৬০টি টিকা হাসপাতালে এসেছে। আর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের শরিরে শুক্রবার বিকাল ৩টা প্রর্যন্ত ১হাজার ১শ’ এক জন পুরুষ ও ৬শ’ ৩৬জন মহিলা টিকা নিয়েছেন। টিকা আগ্রহকারী ইব্রাহিম আহাম্মেদ অরবিল জানান, ডায়াবেটিস সমস্যা থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণে আছে। তাই টিকা দিতে এসেছি। টিকা আগ্রহকারী মোশারেফ হোসেন জানান, এর আগে করোনাকালীন সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। দশমিনা সিনিয়র চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী মোঃ জহির খলিফা জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আদালত চত্তরে মানুষের সাথে মিশতে হচ্ছে এবং বাহিরে চলাচল করতে হয়েছে। টিকা গ্রহনকারীরা আরও জানান এখন নিরাপদ বোধ করছি।
ওই টিকা দানকেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স অফসোনা পারভিন বলেন, ‘তাৎক্ষণিক ভাবে নিবন্ধনের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে। শুক্রবার পুরুষ ও মহিলা ১শ’ ৬০জনকে টিকা দেওয়ার হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত টিকা দান কার্যক্রন চলা। আর ৩টায় টিকা গ্রহনকারীর জন্য আরও ৩০মিনিট অপেক্ষা করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলায় প্রথম ধাপের ৩শ’ ৮৬ বায়েল টিকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে তার মধ্যে ১হাজার ৭শ’ ৩৭জন মানুষের শরিরে টিকা দেয়া হয়েছে। আর দিনে দিনে টিকাদানে সাধারণ মানুষের আগ্রহও বাড়ছে।
এসবি/এমআর