কুয়াকাটা সাগরকন্যা অফিস॥

গলদা চিংড়ি উৎপাদনে সফলতায় চলতি বছরের জাতীয় পুরস্কারে তালিকায় নাম আসা প্রতিষ্ঠান কুয়াকাটা জননী হ্যাচারি পরিদর্শণ করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালন আজিজুল হক।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পৌর শহরের কচ্ছপখালীতে নবনির্মিত ওই হ্যাচারি ঘুরে দেখেন।  ৫ বছরে গলদা চিংড়ি উৎপাদন  ও বিপনে সফলতা পাওয়া সফল উদ্যোক্তা হিসেবে ম্বীকৃতি পাওয়া শাহজাহান মাতুব্বরের গল্প শোনেন মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ। এরপর নিজেদের নির্মিত ‘কুয়াকাটা জননী গলদা চিংড়ি হ্যাচারী লিঃ’র উন্নত প্রযুক্তিতে গলদা রেণু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালন আজিজুল হক।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জহিরুন্নবী’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার সহ কলাপাড়া উপজেলার মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা।
কুয়াকাটা জননী চিংড়ি হ্যাচারীর প্রধান উদ্যোক্তা মোঃ শাহজাহান মাতুব্বর বলেন, ‘ আটজন অংশীদার বিগত ছয় বছর আনন্দবাড়ির মালিক ইলিয়াস মিয়ার একটি পরিত্যাক্ত হ্যাচারী ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। টানা পাঁচ বছর গলদা চিংড়ির পিএল (রেনু) উৎপাদনে দেশের সেরা হয়েছি। চলতি  বছর লাভের টাকায় জমি ক্রয় করে নতুন হ্যাচারী নির্মাণ করেছি।’
অপর উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর শেখ বলেন, ‘আমাদের হ্যাচারীতে উৎপাদিত পিএল (রেনু) বিক্রয় করতে নিয়ে যাবার সময় পথে পথে হয়রাণীর শিকার হচ্ছি। হ্যাচারীর মেমো থাকা স্বত্ত্বেও পথে পথে পুলিশের হয়রাণী থেকে পরিত্রাণের দাবী তোলেন তারা।

কেএআর/এমআর