ইন্দুরকানীতে কলেজ ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » ইন্দুরকানীতে কলেজ ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ
সোমবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১


ইন্দুরকানীতে কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে প্রেমের অভিনয় করে এক কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ২লাখ টাকা  দাবী ও এ টাকা না দিলে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কলেজ ছাত্রীর বাড়ি জেলার  ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামে। সে চলতি বছরের এইচএসসি  পাস করে পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজে স্নাতক  শ্রেণীতে ভর্তি ইচ্ছু। পরে তাকে স্থানীয় একটি ব্রীজের কাছে ফেলে রেখে যায় নির্যাতনকারীরা। সেখান থেকে তাকে শনিবার রাতে  উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে ৩জনকে অভিযুক্ত করে রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) রাতে ইন্দুরকানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
থানায় দায়ের হওয়া মামলা ও ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্য  সূত্রে জানা গেছে, ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের  কলারন গ্রামের মৃত মাসুম খানের ছেলে সোহেল খান ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে ওই কলেজ ছাত্রী রাজী না হলে বিভিন্ন  ভাবে কান্নাকাটি করে তার সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে । এর একপর্যায়ে তাকে জোর করে ঢাকায় নিয়ে যায় ও  সেখানে বসে তাকে জোর করে ধর্ষণ করে।  পরে তাকে ইন্দুরকানী নিয়ে এসে বিয়ের অজুহাত দেখিয়ে তার কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেয়। পরে স্থাণীয়  প্রভাবশালী  আরিফুর রহমান  টুটুল  , মাকছুদুল   উপজেলার পিছনে ওই সোহেলের খালু  আবুল কালামের বাসায় আটকে রাখে। এ সময় বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করে। পরে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় প্রেমিক সোহেল , টুটুল, মাকছুদুল  সহ ৪/৫ জনে তাকে মারধর করে স্থাণীয় শেখ ফজলুল হক মনি সেতুর যাত্রী ছাউনীতে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থাণীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবার সূত্র অভিযোগ করে জানান,   ওই কলেজ ছাত্রীকে নির্যাতন ও জোর করে বিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক   টুটুল ও মাকসুদুল স্থাণীয় প্রভাবশালী । তাই একটি বিশেষ মহলের চাপের মুখে তাদের আসামী করা সম্ভব হয় নি।
এ ব্যাপারে থানার   অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রীর কথিত মতে আসামী করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে সুবিধা দিতে নাম বাদ দেয়া হয় নি।


আরএইচএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৬:০১ ● ১০৩৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ