কুয়াকাটা সাগরকন্যা অফিস॥
পটুয়াখালীর মহিপুরের রায়হান (২২) অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউসুফ বেপারী (২২) ও ইলিয়াছ হোসেন (২৩) নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ইউসুফ বেপারী লতাচাপলী ইউনিয়নের ফাঁসিপাড়া বেল্লাল বেপারীর ছেলে এবং ইলিয়াছ হোসেন পশ্চিম খাজুরা গ্রামের আউয়ুব আলী খানের ছেলে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইউসুফ বেপারীকে এবং সোমবার দুপুরে ইউলিয়াছ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে মহিপুর থানা পুলিশ। ঘটনার ৫দিন পরও অপহৃত রায়হানকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় বাবা আবুল কাশেম রোববার (৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে পুনরায় মহিপুর থানায় ৯ জন আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
মহিপুর থানা ওসি (তদন্ত) মোঃ মিজানুর রহমান জানিয়েছে, রায়হানকে নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়ির থাকায় ইউসুফ বেপারী ও ইলিয়াছ হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানাগেছে, মহিপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে রায়হান (২২) বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার শ্বশুর বাড়ি তালতলির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। সন্ধায় রায়হানের স্ত্রী তাকে ফোন করে অবস্থান জানতে চাইলে মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে ধস্তাধস্তির আওয়াজ শুনতে পায় এবং কিছুক্ষণ পরে লাইন কেটে ফোনে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে শাজাহান শিকদারের মাধ্যমে তার পিতা আবুল কাশেম ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখতে পান। ভিডিওতে দেখা যায় অপহৃত কিশোর রায়হানকে গাছের সাথে হাত বেঁধে একটি নির্জন বনের ভিতরে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালাচ্ছে ৪/৫ জন যুবক। লতাচাপলীর ইউনিয়নের ফাঁসিপাড়া গ্রামের নেছার সিকদারের ছেলে ইমাম শিকদার (ইমন) নেতৃত্বে ৪/৫ জন যুবক এ নির্যাতন করছেন।
এরপর রায়হানের পিতা আবুল কাশেম শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাদী হয়ে ইমাম সিকদার, মসিউর, ইমরান, বিপ্লব শীলের নাম উল্লেখ করে আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাত দিয়ে মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে পুনরায় মহিপুর থানায় ৯ জন আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, অন্যান্য আসামিদের আটকের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি এবং অপহৃত রায়হানকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
কেএস/এমআর