পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
প্রথম ধাপের শেষ জেলা পিরোজপুরের জন্য বরাদ্দকৃত করোনা প্রতিরোধক ৩৬ হাজার ডোজ টিকা পিরোজপুরে পৌঁছেছে। রোববার (৩১ জানুয়ারী) বিকেল ৪ টা ১০ মিনিটে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে টিকা বহনের জন্য ব্যবহৃত একটি বিশেষ গাড়িতে করে এই টিকা আসে। পরে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে টিকা গ্রহন করেন।
সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি বলেন, প্রথম ধাপে পিরোজপুরের জন্য বরাদ্দকৃত করোনা প্রতিরোধক ৩৬ হাজার ডোজ টিকা আমরা বুঝে পেয়েছি। টিকা গুলো যে তাপমাত্রায় (২ থেকে ৮ডিগ্রি) থাকার কথা ছিল সেই তাপমাত্রায় রয়েছে। ভ্যাকসিনগুলোর গুনগতমান ভাল। আমরা পূর্ব থেকে নিবন্ধনভুক্ত ব্যক্তিদেরকে ৭ ফেয়ারি থেকে টিকা প্রদান শুরু করব। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনভুক্ত ব্যক্তিদের মুঠোফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। ওই এসএমএসে ভ্যাকসিন দেওয়ার তারিখ, সময় ও স্থান নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকবে। এসএমএস নিয়ে আসলে আমাদের টিকাদান কর্মীরা তার টিকাদান সম্পূর্ণ করবে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমধাপে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, গনমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, পুলিশ সদস্য, পয়নিস্কাশনকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের করোনা টিকা প্রদান করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো ছক অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
করোনা প্রতিরোধক টিকা প্রদানের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল ও ৭ উপজেলায় ১টি করে মোট ৮টি টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে টিকাদানে অভিজ্ঞ ২জন স্বাস্থ্য কর্মী ও চার জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নিবন্ধনভুক্ত ব্যক্তিদের সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমধাপের টিকাগুলো হাসপাতালে দেওয়া হবে।
এ পর্যন্ত পিরোজপুর জেলায় ৬ হাজার ৩০ জন এর করোনা পরিক্ষা করা হয়েছে এদের মধ্যে ১১ শত ৮৪ জন করোনা পজেটিভ হয়েছে, ১১শত ০২ জন করোনা রোগী সুস্থ্য হয়েছেন এবং ২৫ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। জেলায় বর্তমানে করোনা সংক্রমনের হার ৫ শতাংশ। বর্তমানে করোনা রোগীদের তেমন চাপ নেই তাই প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে কোন রোগী নেই।
আরএইচআর/এমআর