দুমকিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গুম মামলায় ফেঁসে গেল বাদী!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দুমকিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গুম মামলায় ফেঁসে গেল বাদী!
শনিবার ● ৩০ জানুয়ারী ২০২১


দুমকিতে অন্যকে ফাঁসাতে গুমের মামলায় ফেঁসে গেল বাদী!

দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে সাজাঁনো অপহরণ ও গুমের মামলায় ফেঁসে গেছে বাদি আজগর আলী (৫০)। পূর্বশত্রুতায় নিজের ছেলে (ভিকটিম) মিজানুর রহমান (১৭)কে গোপণ রেখে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গতবছরের ২৯আগস্ট পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে প্রতিপক্ষের ৬জনকে আসামী করে মামাটি দায়ের করেন আজগর আলী। সিআর মামলা নং ৮২/২০২০।
মামলার সুদক্ষ তদন্ত কর্মকর্তা চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই জাফর’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও গোপনীয় তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে কয়েক দফা অভিযান শেষে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে পটুয়াখালীর জনৈক নিকটাত্মীয়ের বাসা থেকে কথিত অপহরণ ও গুমের ভিকটিম মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করতে সমর্থ হওয়ায় ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়। ভিকটিম উদ্ধারের পর থেকেই মামলার বাদী আত্মগোপন করেছে।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার দুমকি গ্রামের মৃত আমজেদ আলী হাওলাদারের ছেলে আজগর আলী হাওলাদার (৫০) একই উপজেলার লেবুখালী গ্রামের প্রতিপক্ষ আনোয়ার প্যাদা (৫০), দেলোয়ার প্যাদা(৪৫), আরিফ প্যাদা (২২), রাহাত প্যাদা (২০) ও শাহজাহান প্যাদা (৫৫)  বিরুদ্ধে নিজের ছেলে (ভিকটিম)কে গোপন রেখে মিথ্যে অপহরণ ও গুমের মামলাটি দায়ের করে। আদালত মামলাটি দুমকি থানায় এজাহারভুক্ত করে দ্রুত ভিকটিম উদ্ধারের নির্দেশ দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর দুমকি থানায় মামলাটি এজাহারভুক্ত করে প্রথমে এসআই জুয়েল পাল পরবর্তিতে এসআই জাফরকে হাওলা করে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার ও দুমকি থানার ওসি মেহেদী হাসানের নির্দেশনায় তদন্তকর্মকর্তা এসআই জাফরের নেতৃত্বে রাজধানী ঢাকার উত্তরা, নারায়নগঞ্জ ও সর্বশেষ পটুয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সমর্থ হন।
দুমকি থানার পুলিশ হেফাজতে উদ্ধারকৃত ভিকটিম মিজানুর রহমান অপহৃত কিম্বা গুম হয়নি মর্মে স্বীকারোক্তি করে জানায়, তিনি (ভিকটিম) তার বাবার নির্দেশে নিজেই বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল।
তদন্তকারী কর্মকর্তা দুমকি থানার এসআই জাফর বলেন, ভিকটিম উদ্ধারের মধ্যে দিয়ে প্রমানীত হলো বাদি আসামীদের হয়রানী করার উদ্দেশ্যে সাজানো গুমের মামলাটি করেছে। তিনি বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে ২১১দ:বি: আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মেহেদি হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, উদ্ধারকৃত ভিকটিমের ১৬৪ধারায় জবানবন্ধি রেকর্ড করতে আদালতে সোপর্দ্দ করা হবে। বাদির বিরুদ্ধেও আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

এমআর

 

 

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৮:৫৩ ● ২৯৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ