গলাচিপায় পাকাঘর পেয়ে বেজায় খুশি ৫০হতদরিদ্র পরিবার

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » গলাচিপায় পাকাঘর পেয়ে বেজায় খুশি ৫০হতদরিদ্র পরিবার
শনিবার ● ৩০ জানুয়ারী ২০২১


গলাচিপায় পাকাঘর পেয়ে বেজায় খুশি ৫০হতদরিদ্র পরিবার

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশের মতো রাঙ্গাবালীর বিছিন্ন দ্বীপ চরমোন্তাজে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের মধ্যে নতুন ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে চরমোন্তাজে ৫০টি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে নতুন এসব বাড়ি। নতুন ঘর পাওয়া এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন অনাবিল স্বপ্ন।
বাড়ি পাওয়ার আনন্দে রাঙ্গাবালী উপজেলার বিছিন্ন দ্বীপ চরমোন্তাজ এলাকার ভূমিহীন পেয়েরা বেগমের চোখে  আনন্দ অশ্রুর বান। ঘর পেয়ে কেমন লাগছে, জিজ্ঞেস করায় চরলক্ষির ৩নং ওয়ার্ডের হানিফ গাজী বলেন, ‘আমি ছেলে, নাতি ও বোনকে নিয়ে মানুষের জায়গায় কুঁড়েঘর তুলে থাকি। স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে, আমি জমিসহ ইটের একখানা নতুন ঘর পাবো। শেখ হাসিনার সরকার আমাকে ইটের ঘর দিবেন। এই বয়সে ইটের ঘরে থাকতে পারবো। আমি ভীষণ খুশি হয়েছি ঘর পেয়ে। দোয়া করি শেখ মুজিবের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য, আমাদের গরীবের বন্ধু চেয়ারম্যান জনতা হানিফ এর জন্য।
অন্যদিকে চরমোন্তাজের বৌবাজারের হতদরিদ্র পারভিন বেগম বলেন, আমি মানুষের ঘরে কাজ করে সংসার চালাই, আমার নিজের ভাঙা একটা খর কুটার একটা ঘর ছিল, বৃষ্টির দিনে এই ঘরে থাকতে খুব কষ্ট হতো। সরকার আমাকে ঘর দেওয়াতে আমি খুব খুশি। আল্লাহর কাছে প্রান খুলে দোয়া করি শেখের বেটি শেখ হাসিনার জন্য গরীবের বন্ধু চেয়ারম্যান জনতা হানিফ এর জন্য।
রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় রাঙ্গাবালীতে প্রতিটি ঘরের জন্য দুই শতাংশ খাসজমির বন্দোবস্তসহ দুই কক্ষের সেমিপাকা ঘর তৈরি বিরকরে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরের প্রতিটিতে একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে।
চরমোন্তাজ ইউনিয়ের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরুপ ঘর ৫০টি পরিবারকে আশ্রয় দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মামনীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে এই ঘর উপহার দেয়ার আমার এলাকার গরিব অসহায়, দরিদ্র গবির লোকজন অনেক খুশি। তার জন্য প্রান খুলে দোয়া করি সর্ব দক্ষিনে বিছিন্ন দ্বীপ চরমোন্তাজের আমিসহ হাজার হাজার নৌকা পাগল মানুষ।
এই উপজেলার জন্য সম্প্রতি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাধ্যমে ‘ক’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন ২ হাজার পরিবারের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রথম পর্যায়ে রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৪৯১টি পরিবারকে জমি ও ঘর নির্মাণ করে দিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিছিন্ন দ্বীপ চরমোন্তাজ ইউনিয়নে ৫০টি ঘর। প্রতিটি গৃহনির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাশফাকুর রহমান বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরে আশ্রয়া পাওয়াদের অধিকাংশই রাস্তার ধারে ফুটপাত বা কারও আশ্রয়ে বসবাস করতেন। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পেলেন। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার শতভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাদের জমি ও ঘর নাই, তাদের বসবাসের জন্য বাড়ি করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


এসডি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৩:৩৫ ● ৩০৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ