ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভার সভা কক্ষে মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক’র সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ী পৌরসভার সভাকক্ষে পৌরসভার মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক এর ১০বছরের উন্নয়নমূল কাজের চিত্র তুলে ধরে সাংবাদিকদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পৌর মেয়র মোঃ মুরতুজা সরকার মানিক তার ১০ বছরের সফলতা ও ব্যার্থতা নিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি বিগত ২০১১ইং সালে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথম বারের মতো ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হই এবং গত ২০১৫ইং সালে ২য় বার (সতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে পৌর মেয়র নির্বাচিত হই। আমার এই ১০ বছর পৌরসভায় দায়িত্ব পালনের সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য আপনাদের সম্মূখে তুলে ধরছি। আমি প্রথম ২০১১ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর পূর্বের ১ কোটি ২২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬শত ৩৬টাকা বকেয়া থাকা অবস্থায় দয়িত্বভার গ্রহণ করি। সেই সময় ফুলবাড়ী পৌরসভা তৃতীয় শ্রেনীতে ছিলো। আমি দায়িত্ব নেবার পরেই পৌরসভার আয় বৃদ্ধি করে পৌরসভাটিকে ১ম শ্রেনীতে উর্ত্তিন করি। এবং একটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহন করে নগরীক সেবা বৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেই।
উদ্যোগ সমূহের মধ্যে বিগত ১০ বছরে পৌরকর (হোল্ডিং ট্যাক্স),ব্যবসা লাইসেন্স,জন্ম-মৃত নিবন্ধন কম্পিউটারাইজ করি। পৌরসভাকে মার্চ/২০১৫ইং সালে ‘‘খ’’ শ্রেনী এবং সেপ্টেম্বর/২০১৫ইং সালে ‘‘ক’’ শ্রেনীতে উন্নীত করি। পৌরসভাকে আধুনিক ভবন নির্মান করা হয়েছে। কর্মকর্তা/কর্মচারীর প্রশিক্ষণ প্রদন ব্যবস্থা নেই।অফিসের বিভিন্ন কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন কমিটি গঠন যেমন ঃ ওয়ার্ড কমিটি, শহর সমন্বয় কমিটি ও স্থায়ী কমিটির পরামর্শের মাধ্যমে পৌরসভা পরিচালনা করি।
নাগরিক সেবার যেমন-পরিচচ্ছন্নতা কর্মীদের দিয়ে সাধ্যমত ড্রেন ও রাস্তা-ঘাট পরিস্কার রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করি। আলোকিত শহর গড়তে লাইটিং সেবা বৃদ্ধি করি । রজমানে পৌরবাসীর জন্য ইফতারের আয়োজন করি । পৌর শহরের সকল ঈদগাহ মাঠ নামাযের উপযোগী করতে পরিস্কার পরিছন্নসহ সামিয়ানার ব্যবস্থা করি। ঈমাম মোয়াজ্জেমের ঈদ সম্মানি ভাতার ব্যবস্থা গ্রহন করি পাশাপাশি পুজা উদযাপনে পৌর শহরের প্রতিটি মন্ডবে আর্থিক সহয়াতা ও পুরহিত ও জোগাড়ীকে আর্থিক সম্মানী প্রদান করি। পৌরসভার মাইকিং সেবা চালু করণ
করোনা কালিন সময় - জনগনকে সচেতন করতে মাইকিং করা,বিভিন্ন স্থানে জীবানু নাশখ ঔষধ ছিটানো,মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ড সেনেটাইজার বিতরণ। আর্থিক সহয়তা প্রদান, ত্রান বিতরণ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করি।
অবকাঠামো উন্নয়ন ঃ পৌর ভবন নির্মান, টিএন্ডটি গেটের সামনে গন সৌচাগার নির্মান ও রেলগেটে (নির্মানাধিন),পানির পাইপ স্থাপন ও পাম্পের ঘর নির্মান। বস্তি উন্নয়ন ঃকানাহার বস্তিতে রাস্তা,সেনেটারী টয়লেট নির্মান, স্টেশনপাড়া বস্তিতে রাস্তা,সেনেটারী টয়লেট নির্মান খালাসিপাড়ায় রাস্তা,সেনেটারী টয়লেট নির্মান,চকচকায় রাস্তা,সেনেটারী টয়লেট নির্মান,বস্তির অসহায় নারীদের সাভলম্বি করে গড়ে তুলতে সেলাই মেশিন প্রশিক্ষন, সেলাই মেশিন বিতরণ ও নগদ অর্থ প্রদান করি। পশুপালনের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। শোভাবর্ধন ঃপৌর শহরকে দর্শনীয় করতে শহরের ছোট যমুনা নদীর ব্রীজে উন্নতমানের লাইটি দিয়ে আলোকিত করার ব্যবস্থা গ্রহন করি। ঢাকামোড়ে শাপলা চত্ত্র ও পানির ফোয়ারার ব্যবস্থা করি। স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে উন্নতমানের লাইট দিয়ে আলোকিত করি।
নাগরীক সেবা সমূহ ঃ পরিচচ্ছন্নতা কর্মীদের দিয়ে সাধ্যমত ড্রেন ও রাস্তা-ঘাট পরিস্কার রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করি। আলোকিত শহর গড়তে লাইটিং সেবা বৃদ্ধি করি । রজমানে পৌরবাসীর জন্য ইফতারের আয়োজন করি । পৌর শহরের সকল ঈদগাহ মাঠ নামাযের উপযোগী করতে পরিস্কার পরিছন্নসহ সামিয়ানার ব্যবস্থা করি। ঈমাম মোয়াজ্জেমের ঈদ সম্মানি ভাতার ব্যবস্থা গ্রহন করি পাশাপাশি পুজা উদযাপনে পৌর শহরের প্রতিটি মন্ডবে আর্থিক সহয়াতা ও পুরহিত ও জোগাড়ীকে আর্থিক সম্মানী প্রদান করি। পৌরসভার মাইকিং সেবা চালু করণ
করোনা কালিন সময় -জনগনকে সচেতন করতে মাইকিং করা,বিভিন্ন স্থানে জীবানু নাশখ ঔষধ ছিটানো,মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ড সেনেটাইজার বিতরণ। আর্থিক সহয়তা প্রদান, ত্রান বিতরণ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করি।
উৎসব সমূহ ঃ পৌরবাসীকে আনন্দ বিনোদনের লক্ষে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবছর বৈশাখী মেলার আয়োজন করি। সকল জাতীয় দিবস উদযাপনের সক্রিয় ভুমিকা পালন করি। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে মেধাবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন করি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগ রাস্তার কাজ করতে গিয়ে ভূ-গর্ভের নিচের পানির লাইনের অনেক জায়গায় পাইপ ফেটে ফেলেন সে জন্য নতুন বরাদ্দ আসলে পানির লাইনের কাজ সচল হবে, সে ব্যবস্থ করা হয়েছে। হাট বাজারের বকেয়া আদায়ের যে বিষয়টি রয়েছে তা অডিট অপত্তি রয়েছে। পর্বতীতে তা নিষ্পত্তি হবে। অনেক পৌরসভায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের ১৪ মাস ও ৩৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কিন্তু পৌরসভার আয়ের উপরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন প্রদান করা হয়। সরকারি কোন বরাদ্দ পাওয়া যায় না।
মেয়র হিসেবে আমার ১০ বছরের দায়িত্বের ইতি টানছি। আপনারা অবগত আছেন যে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ইং সালে তৃতীয় বারের মতো সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করি । এবার নির্বাচনে পূর্বের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েও বিজয় হতে পারিন। আমি দায়িত্বে থাকা কালিন সময় ফুলবাড়ী পৌরসভাকে নিয়ে সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি। সম্মানিত নবনিবাচিত মেয়র যদি পৌরসভা বিষয়ে কোন পরামর্শ নিতে প্রয়োজন মনে করেন। তাহলে ফুলবাড়ী পৌরসভার স্বার্থে আমি সবধরনের সহযোগীতা করতে প্রস্তুত।
এএইচসি/এমআর