দশমিনায় হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন ঐতিহ্য মুন্সি আমিরুল্লাহ মসজিদ

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দশমিনায় হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন ঐতিহ্য মুন্সি আমিরুল্লাহ মসজিদ
শনিবার ● ৩০ জানুয়ারী ২০২১


দশমিনায় হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন ঐতিহ্য মুন্সি আমিরুল্লাহ মসজিদ

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালী জেলার দশমিনায় পূরনো মোঘল আমলের মসজিদ যার বয়স আনুমানিক ৫,শ বছরের পুরনো মোঘল আমলের মুসলিম ঐতিহ্যের প্রাচীন ও অন্যতম নিদর্শন এক গম্বুজ বিশিষ্ট ঐতিহ্যবাহি মুন্সি আমিরুল্লাহ জামে মসজিদ হারিয়ে যাচ্ছে । বাংলাদেশের আনাচে কানাচে অযতেœ অবহেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মোঘল আমলের মুসলিম ঐতিহ্যের প্রাচীন ও অন্যতম নিদর্শন। এরকম একটি পুরাকীর্তির আনুমানিক ৫০০ বছরের পুরনো মোঘল আমলের নির্মিত পটুয়াখালী জেলা দশমিনা উপজেলার মুন্সি আমিরুল্লাহ জামে মসজিদ। দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে বর্তমানে মসজিদটির সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।
স্থানীয়রা জানায়, পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আদমপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহি মুন্সি বাড়িতে মুন্সি আমিরুল্লাহ নামে এই মসজিদটি তৈরী করা হয় আনুমানিক ৫শ বছর আগে।যা প্রত্বতত্ত্ব স্থাপত্য শিল্পের এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃষ্টান্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে। এই মুন্সি আমিরুল্লাহর সপ্তম বংশধরদের আর্থিক অভাব অনটনের কারনে রক্ষনাবেক্ষন না হওয়ায় মসজিদের সুন্দর্য দিনবাদিন কালের গর্ভে বিলীন হতে যাচ্ছে।এক গম্বুজ বিশিষ্ট মুন্সি আমিরুল্লাহ জামে মসজিদ। চুন-সুরকী দিয়ে নির্মিত মসজিদটির মূল ভবন চারপাশে ২০০ বর্গফুট বিশিষ্ট। উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। এক গম্বুজ বিশিষ্ট একতলা মসজিদটি নিখুঁত কারুকার্য বেষ্টিত। মসজিদের ভেতরে ২০ থেকে ৩০ জন মুসুল্লি একত্রে নামাজে পড়তে পারেন। মসজিদের ভেতরে বাইরে সমস্ত পলেস্তরা ফেটে ভেঙে বের হয়েগেছে। পরিচর্যার অভাবে মসজিদের বাহিরের আস্তর নষ্ট হয়ে অধিকাংশ জায়গা থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বৃষ্টির পানিতে মসজিদের দেয়ালে শেওলা জমে বিবর্ন হয়ে গেছে মসজিদের সৃন্দর্য। মসজিদের ভেতরের দিকে রয়েছে বিভিন্ন কারুকার্যখচিত মুসলিম স্থাপত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। মসজিদ-সংলগ্ন একটি বড় দিঘি রয়েছে। মুসুল্লীরা এখানে ওজু ও গোসল করেন।আমিরউল্লাহ মুন্সির সপ্তম বংশধর শাহ আলম মুন্সি জানান, অনেকবার খুলনা থেকে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সংস্থার মানুষ মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন বহুবার মাপামাপি করছেন, ছবি তুলেছেন চলেও এসেছেন আর কোন খোজ খরব নেয়া হয়নী বলে জানান স্থানীয়রা।
তিনদিনের অনুসন্ধানে আরো জানাযায় কেউই এটি সংস্কার বা রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব নেয়নি, নিজেদের উদ্যোগে আমরা রক্ষনাবেক্ষণ করি। এলাকাবাসী মনে করেন প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর উদ্যোগ নিলে এটি হতে পারে একটি দর্শনীয় স্থান। মসজিদটি দ্রুত সংস্কার করলে মসজিদটি আরো দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ইসলামি স্থাপত্যশিল্প হিসেবে টিকে থাকবে বহুদিন। এ ব্যাপারে অত্র এলাকার সুশীল সমাজের জনসাধারণের একটাি প্রাণের দাবী মসজিদটি সংস্কারের জন্য উদ্ধর্তন কতৃপক্ষ সহ জেলা প্রশাসক মো,মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।


এসডি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৮:১০ ● ২৭৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ