বামনা(বরগুনা)সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার বামনা উপজেলার দক্ষিন রামনা গ্রামে বরগুনা সরকারি কলেজের অনার্স ইংরেজী বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে চলন্ত ইজিবাইকে চালক কর্তৃক শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার(২৯ জানুয়ারী) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ফুলঝুড়ি খেয়াঘাটের কাছে এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় খেয়াঘাট থেকে ফিরে আসা বামনা থানাপুলিশের কয়েকজন সদস্য মেয়েটির ডাকচিৎকার শুনতে পেয়ে ওই ইজিবাইকের চালককে হাতে নাতে আটক করে। রাত সাড়ে সাতটায় ঘটনার শিকার ওই শিক্ষার্থী নিজে বাদী হয়ে ইজিবাইক চালক মো. আল-আমীন হোসেনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত ওই ইজিবাইক চালক সদর ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের মো. পনু মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানায়, তার বাড়ী পার্শ্ববর্তী কাঠালিয়া উপজেলার চেচরী রামপুর ইউনিয়নের ভায়লাবুনিয়া গ্রামে। তিনি বরগুনার কুমড়াখালী গ্রামে মামা বাড়ীতে থেকে সরকারি কলেজে ইংরেজী বিভাগে অনার্স ১ম বর্ষে লেখা পড়া করে। ঘটনার দিন তিনি কাঠালিয়া থেকে ওই ইজিবাইক যোগে বামনা হয়ে কুমড়াখালীতে যাচ্ছিলো। ইজিবাইক বামনাতে আসার পরে চালক আল-আমীন তাকে ফুলঝূড়ি খেয়াঘাটে পৌছে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। ওই গাড়ীতে আর কোন যাত্রি ওঠায়নি চালক। ফুলঝুড়ি খেয়াঘাটের কাছে বিষখালী নদীর তীরের বেরিবাঁধের উপর উঠলে চালক আল-আমীন তাকে বিভিন্ন প্রকার কু-প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে চালক গাড়ী থামিয়ে তার শরীরে স্পর্শ করার চেষ্টা চালায়। এসময় সে গাড়ী থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ও ডাক চিৎকার দেয়। বরগুনা কোর্টে আসামী রেখে যখন বামনা থানাপুলিশের দুইজন সদস্য খেয়াঘাট থেকে বামনা থানায় ফিরছিলো। তারা তার কাছে ঘটনাটি শুনতে পেয়ে তাৎক্ষনিক ওই চালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
রাত সাড়ে সাতটার দিকে বামনায় থানায় তিনি বাদি হয়ে ওই চালককে আসামী করে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
এব্যপারে বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। আমাদের পুলিশ সদস্য ঘটনার সময় ওই পথ দিয়ে না আসলে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে রাতে একটি মামলা নিয়ে মেয়েটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেই।
এইচআর/এমআর